কক্সবাজারের চকরিয়ায় অষ্টম শ্রেণিতে পডুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক অপহরণের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গলায় চুরিকাঘাত করে আহত করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত স্কুল ছাত্রীকে (ভিকটিম) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সে দক্ষিণ কাকারা মৌলভী পাড়া এলাকার কামাল হোসেনের মেয়ে ও কাকারা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো: তৌহিদ (২৪) নামে এক বখাটে যুবক আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাকারা মৌলভীপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
আটক তৌহিদ ওই এলাকার সিরাজ নুরের ছেলে।
স্থানীয় ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ভিকটিম ছাত্রীর মা তার বাপের বাড়িতে অসুস্থ এক রোগীকে দেখতে যান। ছাত্রীর বাবা পেশায় একজন টমটম চালক। সেও গাড়ি নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বাড়িতে স্কুল পডুয়া ছাত্রী ছাড়া কেউ ছিলনা। সেই সুযোগে স্থানীয় সিরাজ নুরের বখাটে ছেলে তৌহিদ স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণের
চেষ্টা করে। এতে স্কুল ছাত্রী বাঁধা দিলে অপহরণের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীর গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তার শোরচিৎকারে স্থানীরা এগিয়ে এলে বখাটে তৌহিদ পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সে সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
ভিকটিম ছাত্রীর মা মরিয়ম বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অষ্টম শ্রেণি পডুয়া আমার মেয়েকে স্থানীয় তৌহিদ নামের এক বখাটে ছেলে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। সে আমার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে আমি তার প্রস্তাব উডিয়ে দিয়ে কোন ধরণের কথা কর্ণপাত করিনি। ঘটনার দিন আমি ও আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় সুযোগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় সিরাজ নুরের বখাটে ছেলে তৌহিদ আমার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণের প্রচেচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তার গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্টু বিচার দাবী করছি।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ভিকটিমের বাবা এখনো মামলা দায়ের করেনি। তবে ধৃত বখাটকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিমের বাবা
মামলা দায়ের করলে ধৃত বখাটকে ওই মামলায় পুন: গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে তিনি জানান।