আজ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

গরমে কাহিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১০ মে ২০২৩ ১১:১০:০০ পূর্বাহ্ন | চট্টমেট্টো

 গরমে মানুষের মতো কাহিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণীরাও। খাবার গ্রহণে অনীহার পাশাপাশি  আচরণগত পরিবর্তনও  দেখা দিয়েছে। চৌবাচ্চার পানিতে গা ভিজিয়ে সময় কাটছে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকসহ অনেক প্রাণীর।   খাঁচার পশু-পাখিদের স্বস্তি দিতে প্রতিদিন বাড়তি পানি সরবরাহ করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।  এছাড়া স্যালাইনের পানি ও ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার দিয়ে এসব প্রাণীকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার চেষ্টা চলছে। শারীরিকভাবে দুর্বল প্রাণীগুলোর প্রতি দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর।

 

 

 

 

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, কুমির, হরিণ ও বানর, শিম্পাঞ্জি, পেঁচা, সজারু, শিয়াল, জেব্রা, ময়ূর, উটপাখি, শকুন, টার্কি, কবুতর, অজগর সাপ, ইমু, ক্যাঙারুসহ ৬৫ প্রজাতির ৬২০টি প্রাণী রয়েছে। বাঘের সংখ্যা ১৬টি।

কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকছে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকায় এর প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ড. মো. ছাদেকুল আলম।

চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, পানিতেই সময় কাটছে সাদা বাঘ শুভ্রা ও তার সন্তানদের। চৌবাচ্চায় খুনসুটিতে ব্যস্ত জো বাইডেন, জয়াসহ অন্যান্যরা। ছায়ার কখনও ঘুমিয়ে আবার কখনও পানিতে নেমে সময় কাটাচ্ছে এক জোড়া সিংহ। নেই আগের মতো হুংকার। বানরের খাঁচায় তরমুজ, বাঙ্গি, শসা নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। খুনসুটি, চিৎকার-চেঁচামেচিতে ব্যস্ত তারা। হরিণ, ভাল্লুক, শিম্পাঞ্জি, জেব্রার জন্য রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পানি। নেই তাদের চঞ্চলতা। পাখিদের খাঁচায়ও দেওয়া হয়েছে খাবার ও পানি। দিনের বেলায় কমেছে দর্শনার্থীর সংখ্যাও।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, গরমে বেশি সমস্যায় পড়েছে বাঘ, ভাল্লুক ও পাখিগুলো। খাঁচার চৌবাচ্চাগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার লিটার পানি পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকসহ অধিকাংশ প্রাণী সারাক্ষণ পানিতেই সময় কাটাচ্ছে। অন্য সময়ের তুলনায় এসব প্রাণীর খাবার গ্রহণের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। স্যালাইনের পানি, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব প্রাণীর প্রতি সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন আমাদের কর্মীরা। নেওয়া হচ্ছে বিশেষ যত্ন। তবে এখনও কোনো প্রাণী অসুস্থ হয়নি।

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়