সাড়ে ৫২ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ইউক্রেনের ‘ম্যাগনাম ফরচুন’ জাহাজ। গমগুলোর নমুনা সংগ্রহের পরে খালাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি জানান, ইউক্রেন থেকে আসা জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ল্যাব টেস্টে চুক্তি অনুযায়ী ধরন ও মান ঠিকঠাক থাকলে আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুরু হবে খালাস প্রক্রিয়া।
সম্প্রতি ভারত থেকে গম আমদানির চেষ্টা করে সরকার। তবে দেশটি রাজি না হওয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জিটুজি ভিত্তিতে গম আনার চুক্তি হয়। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দুই চালানে রাশিয়া থেকে আসে এক লাখ টনের বেশি গম।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে বছরে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি করে মেটাতে হয়। গত কয়েকবছরে ৬০-৬২ লাখ টন করে গম আমদানি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই আমদানি একেবারে তলানিতে নেমে এসেছে। যে কারণে গম ও গম থেকে তৈরি পণ্যের সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে।
খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে সরকারিভাবে গমের মজুত আছে ৫৪ হাজার ৩৭৫ টনের মতো। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মোট গমের আমদানি ছিল ৫৩ দশমিক ৪৩ লাখ টন। এরমধ্যে ১৭ শতাংশ ইউক্রেন থেকে এবং ২১ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি নেমে আসে ৪০ দশমিক ১২ লাখ টনে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টন গম বেচাকেনা হয়। তবে পরে তা নেমে আসে ১০-১২ হাজার টনে। এখন তা আরও অর্ধেকে নেমেছে। একইসঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে দামও। গত সপ্তাহে যে গমের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা, মঙ্গলবারে তা দাঁড়ায় ৪৬ টাকায়।