কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল লবণের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মাঝিরঘাটের লবণ মিলে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেলা দেড়টা থেকে বিকেল সোয়া তিনটা পর্যন্ত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মদ।
লবণ উৎপাদন, মজুদ নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাতকরণ মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত সরকারি সংস্থা বিসিক চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিজিএম নিজাম উদ্দিন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
কবির সল্ট মিল, মেসার্স মালেক সন্স, মদিনা সল্টসহ মাঝিরঘাটের ৩৭টি লবণ মিল পরিদর্শন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিমত বাজারে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ আছে।
অধিকাংশ মিল মালিক জানান যে, কক্সবাজারের মাঠ পর্যায় থেকে আরও বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত লবণ পরিবহন প্রয়োজন।
২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ২২ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিকটন লবণ উৎপাদিত হয়েছে যা পুরো দেশের চাহিদার প্রায় কাছাকাছি। এরপরও মাঝিরঘাটের সল্ট মিল এলাকার লবণ কারখানাগুলোর মিল গেটে লবণের দাম ২০২২ সালের তুলনায় বস্তাপ্রতি (৫০ কেজির বস্তা) ১০০-১৫০ টাকা বেশি৷
বিসিকের নিজাম উদ্দিনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজারে মাঠ পর্যায়ে এখনো এ মৌসুমে পড়ে থাকা ৬ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিকটন অপরিশোধিত লবণ নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।