ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা। রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকায় অনেক সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অলিগলি ও ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন।
আবহাওয়ার দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, রোববার (৬ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার ৯টা পর্যন্ত) বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২১৮ মিলিমিটার। এই মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
বৃষ্টিতে নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ ও শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, ছোটপোল, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকা, ফিরিঙ্গিবাজারের একাংশ, কাতালগঞ্জ, কেবি আমান আলী রোড, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, তিন পুলের মাথা, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মুরাদপুরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও অলিগলি পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
বর্ষার শেষে এসে চট্টগ্রামে এই বৃষ্টিপাতে চকবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারে কাঁচাবাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ভোগ্যপণ্যের দোকান-আড়তেও পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
সড়কে কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক অটোরিকশা বিকল হয়ে যাচ্ছে। লোকজনকে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়ায় প্যাডেলচালিত রিকশায় চলাচল করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা এড়াতে অনেক যানবাহন বহদ্দারহাট মোড় থেকে ফ্লাইওভার দিয়ে লালখানবাজার পর্যন্ত চলাচল করছে। ফ্লাইওভারেও ওঠানামার পথে যানজট তৈরি হচ্ছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বা হবে, সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে আটকে যাওয়া পানি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে খাল ও নালাগুলোর যেসব স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে, সেগুলো অপসারণ করা হচ্ছে।