আজ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজার রুটে যাত্রা করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১১:০৫:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

আগামী ২৪ নভেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুট দিয়েই শুরু হচ্ছে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের নতুন এয়ার লাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা এয়ারলাইন্স। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) মো: কামরুল ইসলাম এমন তথ্য দিয়ে সুস্বাগতম জানিয়ে বলেন, প্রায় ৯ বছর পর নতুন একটি এয়ারলাইন্স পেখম তুলে বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনকে স্বস্তির আবহাওয়ায় ভরিয়ে দিচ্ছে। ১৭ জুলাই ২০১৪ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পর বাংলার আকাশে বিচরণ করতে যাচ্ছে দেশের নবীনতম বিমান সংস্থা এয়ার অ্যাস্ট্রা। আগামী ২৪ নভেম্বর তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে এয়ার অ্যাস্ট্রা ঢাকা থেকে কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে দেশের আকাশপথকে রঙিন করে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আকাশ পরিবহন শিল্পের ইতিহাস অম্ল মধুর। নানা রকম উচ্ছ্বাস আর আবহ নিয়ে দেশের আকাশথে বিচরণ করার জন্য বেসরকারি বিমান সংস্থা জিএমজি এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ-সহ আট-নয়টি এয়ারলাইন্সের শুভাগমন ঘটেছিল; কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আজ সেসব এয়ারলাইন্স ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে। প্রায় ২৬ বছর ধরে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো নানাভাবে বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। বারবার বন্ধুর পথে হোঁচট খেতে হয়েছে। বন্ধ হওয়ার মিছিলকে সমৃদ্ধ করেছে, যা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। এয়ার অ্যাস্ট্রার আগমনে এই বন্ধ হওয়ার মিছিলের পরিবর্তে এগিয়ে যাওয়ার মিছিলে রূপান্তরিত হবে এই প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন।

 

কামরুল বলেন, একটি এয়ারলাইন্সের আবির্ভাবে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা বাংলাদেশের মতো অধিক জনবহুল দেশে বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখে। সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। একটি দেশের আকাশপথের গতিশীলতা থাকলেই অন্য সব শিল্পের গতিশীলতা বজায় থাকে। এয়ার অ্যাস্ট্রার আগমনে প্রত্যাশা অনুযায়ী অন্যান্য শিল্পের গতিশলীতা আরো বেশি বেগবান হবে বলে আমি মনে করি।
কোভিড-১৯-এর কবলে পড়ে সারা বিশ্বের অ্যাভিয়েশন শিল্প চরম দোদুল্যমান অবস্থায় পড়েছিল। অনেক সুখ্যাতি সম্পন্ন এয়ারলাইন্স করোনা মহামারীর করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে প্রি-কোভিড অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি। সেখানে এয়ার অ্যাস্ট্রার আগমন বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পের অগ্রগতির পরিচায় বহন করছে, সাথে দেশের অর্থনীতি পজিটিভ সূচককে নির্দেশিত করছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশনে করোনা মহামারীতে বিপরীত চিত্রও আমরা দেখতে পাই। প্রায় ১০ বছরের অধিক সময় ধরে সেবা দেয়া এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ারওয়েজ কোভিড-১৯-এর শুরুতে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে, যা আজ অবধি আর ব্যবসায় ফিরে আসতে পারেনি।
করোনা-পরবর্তী সময়ে এয়ার অ্যাস্ট্রার আগমনে প্রায় তিন শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। প্রাথমিকভাবে দু’টি এয়ারক্রাফট দিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে এয়ার অ্যাস্ট্রা। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সটি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন নতুন এয়ারক্রাফট, নতুন নতুন রুট, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্প পজিটিভিটি নিয়ে এগিয়ে যাবে। এয়ার অ্যাস্ট্রা বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভো এয়ার-সহ জাতীয় বিমান সংস্থার সাথে উন্নত সেবা আর সাশ্রয়ী ভাড়ায় দেশীয় যাত্রীদের আস্থা অর্জন করবে এই প্রত্যাশা সবার।