চট্টগ্রামে আবারো খোলা নালায় পড়ে গেছে এক শিশু। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার একদিন পার না হতেই বহদ্দারহাট ড্রেনে পড়ে যায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি।
পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাকে উদ্ধার করে। সিটি করপোরেশনের গাফিলতির কারণে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
সিসিটিভি ফুটেজে আরাকান রোড, শনিবার (২৬ মার্চ) সাড়ে ৩টায় পুরাতন চাঁন্দগাঁওয়ের সামনের ফুটপাত দিয়ে দুই নারী শিশুর হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ করে ছোট শিশুটি খোলা ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় দোকানদার ও মেয়েটির মা দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ভাগ্যক্রমে শিশুটিকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।
এ ঘটনার একদিন পর রোববার সকালে বহদ্দারহাটের বাস টার্মিনাল এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি বড় ড্রেনে পড়ে যায়। ড্রেনটি ছিল কচুরিপানায় ভরা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দীন বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসে আমরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করি। শুধু এ দুটি ঘটনাই নয়, এর আগেও গত বছরের জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত নালা ও খালে পড়ে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সিটি করপোরেশনের উদাসীনতার কারণে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। স্থানীয়রা বলেন, অনেক বছর ধরে কাজ করছে। কাজ অর্ধেক করে ফেলে রেখে দিয়েছে। বারবার এমন ঘটনা ঘটছে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় কাউন্সিলর অনেকটা দায় এড়ানোর চেষ্টা করে বলেন, অতিদ্রুত খোলা নালা কিংবা ড্রেনে স্ল্যাব বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। কাউন্সিলর এসরারুল হক বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজ গুলো এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে বৃষ্টির পানিতে নিখোঁজ হওয়া ছালেহ আহমেদের এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি।
ডিসি