আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাবাজার ও গাছতলী ঘাটের হিসাব নিকাশ

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে, খসকী জালে মূল সমস্যা বলছে তারা

ইলিয়াছ সুমন সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ ০৮:০২:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ (২৩ জুলাই) মধ্যরাতে সাগরে ইলিশ ধরতে নামছে  সন্দ্বীপের প্রায় ১ হাজার ২শত জেলে । গতকাল সরোজমিনে দেখা যাই  শেষ সময়ে জাল নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছে শত শত জেলে। 

সন্দ্বীপের বড় দুটি মাছের ঘাট বাংলাবাজার ও গাছতলী ঘাট থেকে সারকার খাস কালেকশন (মামলার কারণে ঘাট দুটির ইজারা বন্ধ আছে) বাবদ পায় মাসে ১০ হাজার টাকা করে বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার। দুটি ঘাটে ২ লক্ষ ৪০ হাজার।

অথচ সাগর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমে ধরে আনা প্রতিটি ইলিশের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১০ টাকা, মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১০ টাকা। অর্থাৎ ইলিশপ্রতি চাঁদা ২০ টাকা। ইলিশের মৌসুম শেষে বছরের অন্যান্য সময় অন্য মাছ ধরে ঘাটে আনলেও ১০০ টাকার মাছে ৫ টাকা করে দিতে হয় ঘাটের লোকজনকে। গতকাল সন্দ্বীপের বৃহত্তর বাংলা বাজার ও গাছতলী হাটে একাধিক জেলে ও বোট মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে উক্ত ঘটনা ।

এছাড়াও ঘাট দুটিতে গুদি ভাড়ার সরকার নির্ধারিত কোন মূল্য না থাকায়, প্রতিটি নৌকা থেকে গুদিভাড়া বাবদ বছরে ২০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। ঘাট দুটিতে মাছ ধরতে যায় এমন নৌকা আছে  ২ ঘাটে দুইশ বোট । বছরে কত টাকা আয়? হিসেব করে দেখেন। ঘাটমালিকের নির্ধারিত টাকা দিলে ঘাটে থাকতে পারবেন, নইলে ব্যবসা করার দরকার নেই।

বছরে সরকারকে মাত্র ২ লক্ষ ৪০ হাজার দিয়ে মৎসজীবীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় কয়েক কোটি টাকা।  এদিকে একাধিক জেলে ও বোট মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সাগরে ইলিশের মুল সমস্যা হচ্ছে খসকী জাল, এ খসকী জালের কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে হিমশিম খাচ্ছেন, তারা বলছেন খসকী জালের কারণে আমাদের বোটের সাথে জাল পেছায় একবার অনন্ত বিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার জাল নষ্ট হচ্ছে। জেলেরা আর ও বলেন আমরা সাগরের এাটি বোটে বিশ থেকে পচিশ জন জেলে নদীতে পাঁচ থেকে সাত দিন অবস্থান করে ইলিশ ধরতে যায়, কিন্ত খসকী জালের জন্য আমাদের সব দিক লস হচ্ছে। এ বিষয়ে সন্দ্বীপ দক্ষিণ অঞ্চলের কোষ্টগাটের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবদুল মান্নান বলেন সাগরে খসকী জালের অভিযান অব্যহত রয়েছে, মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে আমরা এ অভিযান অব্যহত রাখবো।