ইতালির এফবি ডিজাইনের ইয়ার্ডে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নির্মিত হাইস্পিড পেট্রল বোট দেশে এসেছে। ইতালির রেনেভা বন্দর থেকে কনটেইনার জাহাজ সোঙ্গা চিতায় তুলে ২২ দিনের যাত্রা শেষে রোববার (১৫ মে) সকালে স্পিড বোটটি চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি জেটিতে আনা হয়।
বহির্নোঙর থেকে জাহাজটি জেটিতে আনার সময় বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারী ১০ ও ১২ সহায়তা করে। এ সময় বন্দরের নিজস্ব পাইলট আবুল খায়ের সোঙ্গা চিতার দায়িত্বে ছিলেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ১৬ দশমিক ৫ মিটার লম্বা ও ১ দশমিক ২ মিটার ড্রাফটের পেট্রল বোটটি প্রায় ২২ কোটি টাকায় সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগরে চলাচলের উপযোগী। এটি ঘূর্ণিঝড়ে উল্টে গেলেও আবার আগের অবস্থান নিয়ে নেবে। আধুনিক নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি, স্যাটেলাইট রাডার, স্যাটেলাইট কম্পাস, ২টি ইঞ্জিন, ৩টি জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। এ বোটে ১৬ জন বসতে পারবে।
পেট্রল বোটটি সোঙ্গা চিতা থেকে নামানোর পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে ট্রায়াল দেবে বন্দরের নৌবিভাগ। এরপর এটি বন্দরের ১ নম্বর বার্থের সার্ভিস জেটিতে থাকবে।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, অত্যাধুনিক পেট্রল বোটটি খালাসের আগে সোঙ্গা চিতার ৩০০ খালি কনটেইনার নামাতে হবে। এ বোটটি পতেংগা থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দ্রুততম সময়ে পাড়ি দিয়ে পাইলটদের আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া বহির্নোঙরে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে বন্দরের নৌ বিভাগের ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বোটটি পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
নতুন হাইস্পিড পেট্রল বোটটির কারণে বন্দরের জাহাজের বহরে সক্ষমতা যেমন বাড়লো তেমনি মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।