আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাজস্থলীতে ধাম্মাবিজয়া নির্মানাধীন বুদ্ধমুর্তিতে অষ্টধাতু প্রতিস্থাপন

মোঃ আইয়ুব চৌধুরী, রাজস্থলী : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ ০৫:৫৩:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

দুর্গম পার্বত্য রাজস্থলী সবুজ ঢাকা উচু টিলার উপর ধ্যানে মগ্ন গৌতম বুদ্ধকে বেশ দুর থেকে চোখে পড়ে।আসনে বসা বুদ্ধের মাথার পেছনে আকাশের পটভূমি।কাছাকাছি এলে থমকে দাঁড়াতে হয়। প্রশান্তি আর গভীর অনূভূতিতে মন আচ্ছন্ন হয়। রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের রাস্তার মাথায় এলাকায় রাজস্থলী সুবর্ণ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে নির্মিত হয়েছে বুদ্ধমুর্তি।যার উচ্চতা ৪৫ ফুট। ধ্যানরত অবস্থায় এ পার্বত্য অঞ্চলে এতবড় বুদ্ধমুর্তি আর নেই বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। 

রাজস্থলীতে ৪৫ ফুট উচ্চতা নির্মানাধীন ধম্মা বিজয়া বুদ্ধ প্রতিমূর্তিতে অষ্টধাতু প্রতিস্থাপন অনুষ্টান ১৫ মার্চ শুক্রবার  সকাল  সাড়ে আটটায় সুবর্ণ মৈত্রী বিহার প্রাঙ্গনে  অনুষ্টিত হয়েছে। রাজস্থলী সুবর্ণ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের ব্যবস্থাপনায় ধাম্মা বিজয়া বুদ্ধমূর্তি প্রতিষ্টা পরিষদ আয়জনে অনুষ্টিত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন উঃ কিত্তিমা মহাথেরো। এছাড়াও প্রাজ্ঞ পন্ডিত পূজনীয় ভিক্ষু সংঘ সহ শ্রদ্ধাবান দানবীর ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি সহ দুর দুরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার দায়ক দায়িকা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানে সকাল থেকে সমবেত বন্দনা ও পঞ্চশীল গ্রহন, ত্রিপিটকপাঠ,বিশ্বশান্তির কামনায় পরিত্রান সূত্র পাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন। পরে ধম্মাবিজয়া বুদ্ধ মর্তিতে অষ্টধাতু স্থাপন সহ ধর্মীয় দেশনা ও দানীয় সামগ্রী উৎস্বর্গ করা হয়। রাজস্থলী মৈত্রী বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথেরো বুদ্ধমূর্তি নির্মাণের খরচ প্রসঙ্গে বলেন,কেবল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ নয়, হিন্দু খ্রীষ্টান, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ সবার দানের টাকায় এই বুদ্ধমূর্তি গড়ে তোলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান আর্শিবাদক লংগদু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উঃ সুমনা মহাথেরো  বলেন, ধ্যানরত বুদ্ধমূর্তির অনেক গুরুত্ব রয়েছে বৌদ্ধধর্মে। দেশে ধ্যানরত অবস্থায় এত বড় একটি বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ অত্যন্ত গৌরবের। নতুন এই বুদ্ধমূর্তি পর্যটনেও ভূমিকা রাখবে। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক আসবেন এটি দেখতে।