একটি রফতানির চালানে ২২ লাখ টাকা পাচারের অপচেষ্টা উদঘাটন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউর আরএম স্টোরের ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশান নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চালানটি (বিল অব এক্সপোর্ট নম্বর সি-৪৮২৩৯৭) সংযুক্ত আরব আমিরাতে রফতানির উদ্দেশ্যে এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়েছিল।
এ চালানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৫টি চালান রফতানি করেছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ।
তিনি জানান, এ বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেছে। রফতানিকারক ঘোষিত ৩৮ হাজার ৩১১ পিসের বিপরীতে ২১ হাজার ৯৭২ দশমিক ৭৫ ডলার (প্রতি পিসের ঘোষিত মূল্য দশমিক ৫৭ ডলার) বা ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টাকা প্রাপ্তি হতো। কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস পণ্য। অতিরিক্ত পাওয়া যায় ৪৫ হাজার ৪০ পিস পণ্য। সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা প্রাপ্তি হতো। রফতানিকারক এ চালানের মাধ্যমে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
