রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ির ঘোনার পাড়া এলাকা বার্মিজ চোরাই গরু পাচারে বাঁধা দানকারী যুবককে অপরহরণ চেষ্টাস্থলে মারামারির ঘটনায় মারা গেছে ১ যুবক। তার নাম মোহাম্মদ আবু তালেব (২৭)। সে থিমছড়ি পাহাড় পাড়া এলাকার মৃত মাহমদুর রহমানের ছেলে। ঘটনায় আহত হন অপহরণের চেষ্টার শিকার নূরুল আবসার,আবু তালেব,সোনা মিয়া,নুরুল আবসার -২ সহ একই বিষয়ের পূর্বাপর ঘটনায় আহত হয়েছে মোট ১০ জন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে,বৃহস্পতিবার
ইফতারের পর রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি জাব্বার মেম্বারের বাড়ির সামনে
থেকে চেরাইগরু পাচারে বাধা দেয়ার জের ধরে বহিরাগত ৬ যুবক মটরবাইক নিয়ে এসে ঘোনারপাড়ার হাজি নুর হোসেনের ছেলে প্রতিবাদকারী নুরুল আবসার নামের এক যুবককে ধরে অপহরণ করতে
টানাটানি শুরু করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এ ঘটনার চিল্লাচিল্লির আওয়াজে চতুর্পাশ থেকে লোকজন জড়ো হতে থাকে। পরে মারামারি। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতরা হলো: আবু তালেব (২৭),নুরুল আবসার ( ৩৫),সোনা মিয়া (৪২),নুরুল আবসার -২ ( ৩৯) মোহাম্মদ ইউনুছ (২২) সহ অনেকে। পরে ঘটনাস্থলে আইন শৃংখলা বাহিনী আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে নিবৃত্তকারী নিরীহ আবু তালেব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান শুক্রবার দুপুরে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িযে পড়ে। শোকাহত লোকজন হতাশ হযে পড়েন। তারা সকলে এ এলাকার সন্ত্রাস বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গড়ফাদারদের শাস্তি দাবী জানান।
অপর ঘটনায় ঘটে রাত ৩ টা থেকে রাত ৪ টায় থিমছড়ি বাজারের উত্তর পাশে ধোয়াইঙ্গার কাটা ঘোনার পাড়ায়।
এটি ছিলো সেই চোরাইগরু পাচারে বাধাঁদানকারী প্রতিবাদি যুবক নুরুল আবসারের বাড়ি।
তার পিতা হাজি নুর হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান,রাত ২ টার দিকে একদল আর ৪ টার দিকে আরেক দল
লোক তার বাড়িতে এসে তার বাড়ি-ঘর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। প্রথমে তার স্ত্রীকে মারধর করে জোরপুর্বক ৩ লক্ষ ২ হাজার টাকা খতিয়ে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী তার মেঝছেলের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে গ্লাসের দরজা সমেত সব দরজা ভেঙ্গে চুরমার করে।
এখানে তেমন কিছু নেন নি, তবে ক্ষতি করেন লক্ষাধিক টাকার ফার্নিচার।
তিনি আরো জানান,এর পর তার এ ছেলের বাড়ির টিনের চালা নষ্ট সহ ব্যাপক ক্ষতি করে।
পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় অন্তত: ১০ রাউন্ড গুলি চালায়।
তখন এলাকায় এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লোকজন দ্বিগ্বিদিক পালিয়ে য়ায়। এসব কারণে তার বাড়ির অন্তত: ৮ জন রোজাদার রোজা পর্যন্ত রাখদে পারে নি বলে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি তার হাফেজ ছেলের বিয়ের জন্যে জমানো এ টাকা ফেরৎ সহ ঘটনার জেলা প্রশাসক ও উচ্চ মহলের কাছে বিচার দারী জানান।
তিনি তার ছেলে নুরুল আবসারকে অপহরণ চেষ্টাকারীদের গড়ফাদার কুখ্যাত বাহিনী ও তার প্রধানকে গ্রেপ্তারপুর্বক তাদের শাস্তি দাবী জানান।পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে মুল ঘটনার উদঘাটনেরও দাবী জানান তিনি। তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায রয়েছেন।
অপর দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান,এলাকার শতাধিক মুসল্লি। ঘোনার পাড়ার জামে মসজিদের এ সব মুসল্লীরা এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর মানব বন্ধন করেন।
এতে ঘোনারপাড়ার সর্দার,মুরব্বি,ছাত্র-শিক্ষক সহ সকলে উপস্থিত ছিলেন।