আজ সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ই আশ্বিন ১৪৩০

মইজ্জ্যারটেকে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান : ১৯ গাড়ি জব্দ

মু. বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৩:৩২:০০ অপরাহ্ন | দেশ প্রান্তর

কর্ণফুলী উপজেলার ব্যস্ততম মহাসড়ক মইজ্জ্যারটেক ট্রাফিক পুলিশ ১৭ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

মইজ্জ্যারটেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই) ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ ও সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইসমাঈল এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আটক করা হয় নাম্বার ও লাইসেন্সবিহীন ৮টি সিএনজি অটোরিক্সা, ১০টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও ১টি মোটরসাইকেল।

এসময় টি.আই ফরহাদুজ্জামান দৈনিক সাঙ্গু কর্ণফুলী প্রতিনিধিকে জানান, মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ অমান্য করে কর্ণফুলী উপজেলার ব্যাটারী চালিত রিক্সাগুলো মইজ্জ্যারটেক চত্ত্বর ও মহাসড়ক প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি করছে। ট্রাফিক পুলিশকে দেখে পালাতে গিয়ে দুঃঘর্টনা শিকার হচ্ছে কাজেই অনেকটা কৌশলে তাদের ধরতে হয়। তিনি আরো জানান-আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে। মইজ্জ্যারটেক চত্ত্বর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও আশপাশের সড়কগুলোতে অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন যানগুলো জব্দ করা হবে।

সরোজমিনে দেখা যায়- ব্যাটারী চালিত রিক্সাগুলোর চালকরা বয়সে তরুন ও প্রশিক্ষণ নেই। উঠতি বয়সের ছেলেরা কর্মসংস্থানের অভাবে এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তাদের গাড়ী চালনোর নিয়মও ভিন্ন, ব্যাটারী চালিত রিক্সাকে তারা যোদ্ধাবিমানের ন্যায় রাস্তার এপাশ ওপাশ দিয়ে খেলেধুলে দ্রুত গতিতে গন্তব্য পৌঁছানোকে বড় বাহাবাহার কাজ মনে করছে। এমন বেপরোয়া গতিতে চলাচলে ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুঘর্টনা ঘটছে। এসব রিক্সার নেই কোনো নির্ধারিত স্ট্যান্ড। সম্প্রতি সময়ে উপজেলার চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাটের মাথা, কাঁচাবাজার, ইছানগর বিএফডিসি গেইট, শিকলবাহার কালারপোল মোড়, মাস্টারহাট, জুলধা পাইপের ঘোড়া ও ফকিরন্নিরহাট রাস্তার মাথায় এবং বিভিন্ন অলি-গলিতে এলোমেলোভাবে রিক্সা রাখার ফলে পথচারীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব অটো রিক্সা বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। 

রিকশা যাত্রীদের অভিযোগ, ছোট শিশু কিশোররা রিক্সা চালকরা রাস্তার এপাশ-ওপাশ, ডান-বাম, সাইট কিছুই চেনে না। তবুও তারা রিকশা চালক। বিশেষ করে জনবহুল পয়েন্ট ক্রস করার সময় গাড়ির গতি না কমানোর ফলে প্রতিনিয়ত দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠরা।