আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পরিবারের স্বস্তির নিঃশ্বাস

ভাসুরের ছেলের ধারালো অস্ত্রে আহত হওয়া পলির আইসিইউতে জ্ঞান ফিরেছে

ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ০৬:১৭:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

গত ১৯ মে সকাল ১০ টায় সন্দ্বীপের সন্তোষপুরে ভাসুরপুত্র কর্তৃক গলায় ছুড়িকাঘাতে হত্যা চেষ্টায় আহত হওয়া

 জুলেখা বেগম পলির ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে  জ্ঞান ফিরেছে। রবিবার সকালে ১৯ মে প্রথমে আহত অবস্থায় সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করালে কতৃব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়,

 (১৯ মে) রাত ১১ টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেয়া হয়।   সোমবার  সকালে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অস্ত্রপাচার হয়। অস্ত্রপাচার সফল হলে পরবর্তী পর্যবেক্ষনের জন্য নেওয়া হয় আইসিইউতে।পলির   সাথে থাকা সন্তোষপুর ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  মো. সেলিম মেম্বার জানান  গতকাল সোমবার (২০ মে) রাত ১০ টার পর আইসিইউতে থাকা অবস্থায় চোখ খুলেছেন। আহত পলির সাথে থাকা সমাজকর্মী মাইনউদ্দীন ভূইয়া জানান চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করে সকালে

আইসিইউতে স্থানান্তর করানো হয়। অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হওয়ায় পর প্রথমে সে চোখ খুলে জ্ঞান ফিরে। চোখ খোলার পর দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার পর পরিবারের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস আসে। এদিকে সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহফুজু রহমান মিতা গতকাল রাতে ঢাকায়  জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আহত জুলেখা বেগম পলিকে দেখতে আসেন এবং তার শারীরিক খোজ খবর নেন এবং চিকিৎসা সহয়তা করেন।আহত জুলেখা বেগম  পলি সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মিয়া পাটোয়ারি বাড়ির প্রবাসী মো. রিপনের স্ত্রী। রিপন দুবছর যাবৎ সৌদি প্রবাসী।  তার দুটি সন্তান রয়েছে। ফরহাদ তার ভাসুর মো. বেলালের ছেলে। এলাকাবাসী ও ফরহাদের বাড়ির লোকজন সুত্রে জানা যায় ফরহাদ তার চাচিকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতে ঘটনার দিন ও সময়ে  বৃষ্টি ছিল তার প্রাস্তবে রাজী না হওয়ায় ধারালো অস্ত্রে তাকে আগাত করে পালিয়ে যায়। 

এই ঘটনায় পলি বেগমের মা নিলুফা বেগম (৫৭) বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর   সহায়তায় রবিবার বিকেল ৫ টার পর  গাছুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অভিযুক্ত ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন  পিপিএম বার বলেন  এ ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর ই আমি ফোর্স সহ সন্তোষপুর যায় স্হানীয় চেয়ারম্যান আমাকে সহযোগিতা করছে।  খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ভিকটিমকে সহায়তা করাসহ পলাতক আসামি ফরহাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাই। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।