চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাতা আত্মসাত, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এসএম জিহাদ বাবলুর বিরুদ্ধে । গতকাল বিকেলে বোয়ালখালীতে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা এ অভিযোগ তুলে সম্মেলন করেছেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বিকেল ৫টায় উপজেলা বিআরডিবি হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জিহাদ বাবলুর বিরুদ্ধে উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের সরকার প্রদত্ত জাতীয় ক্যাম্পেইনের (হামরুবেলা ও ভিটামিন এ প্লাস) ভাতা আত্মসাৎ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এতে সকলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাস্থ্য সহকারী সুমন ঘোষ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ২০২১ সালে স্কুল পর্যায়ে হাম রুবেলা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারীর এ সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা তা শতভাগ সফলতার মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ওয়ার্ডে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারীর জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন ১৯হাজার ২৭৬ টাকা। অথচ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এসএম জিহাদ বাবলু প্রতিজন স্বাস্থ্য সহকারীকে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রদান করেছেন ১২হাজার ১৬০ টাকা। এর মাধ্যমে তিনি ৩০ওয়ার্ড হতে ২ লাখ ১৩হাজার ৪৮০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সাথে এ ক্যাম্পেইনের মাইকিংয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ৯৬ হাজার টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেন। যে সকল স্বাস্থ্য সহকারী হামরুবেলা ক্যাম্পেইনে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যান তাদের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক ৯হাজার ৬০০টাকা। সেই টাকাও তিনি কাউকে প্রদান করেননি। একইভাবে বিগত দুই রাউন্ড ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিজন স্বাস্থ্য সহকারির জন্য বরাদ্দ ছিলো ৯হাজার ৪৯৮টাকা। কিন্তু ৮হাজার ৬০০টাকা প্রদান করে জিহাদ বাবলু ৩০ ওয়ার্ড থেকে ২৬ হাজার ৯৪০টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার এ কর্মকান্ডে প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গত ১০ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য সহকারীরা অভিযোগ করে বলেন, চলমান শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। অথচ জনবল থাকা স্বত্ত্বেও নানান অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুমন ঘোষ, মো. আনোয়ার হোসেন, রুমি আকতার, রুমি সুলতানা, চুমকী দাশসহ ২৪জন স্বাস্থ্য ।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এসএম জিহাদ বাবলু বলেন, আমার স্বাক্ষরে টাকা উত্তেলনের কোন সুযোগ নেই।