বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে দেবর ও শশুর বাড়ির লোকজনের মারধর ও নির্যাতনে অপমান সইতে না পেরে জুলেহা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পুঁইছড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার মোহাম্মদ মিনহাজের স্ত্রী।
জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর পূর্বে বাঁশখালীর দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে মিনহাজের সাথে একই এলাকার আহমদ হোসেনের মেয়ে জুলেহা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫ বছর ও ৩ মাস বয়সী দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শশুর বাড়ির লোকজন জুলেহাকে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ করেছেন নিহত জুলেহার ভাই শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, আমার বোনকে নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে। ঘরে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন থাকলেও কেউ জুলেহাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। এসময় নিহতের বোন রিপা আক্তারসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও জুলেহার মৃত্যুর জন্য স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনদের দায়ী করেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার সকালে পরিবারিক বিরোধের জের ধরে দেবর মীর আক্কাসের সাথে গৃহবধূর জুলেহা বেগমের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ভাবি জুলেহাকে মারধর করেন দেবর মীর আক্কাস। স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের সামনে গৃহবধূকে মারধরের সময় তাকে থামাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। ঘটনার পর অপমান সাইতে না পেরে ঘরের ভেতরে ঢুকে জুলেহা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুলেহাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে বিকেল ৩ টায় জমি থেকে এসে সুইস দিতে দিয়ে নুরুল ইসলাম (৭৫) মৃত্যু বরণ করে সে সরল ইউনিয়নের জালিয়া ঘাটা গ্রামের মৃত আমির হোসেন এর পুত্র।
বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।