আর কদিন অপেক্ষা?আর কত দেরী পাঞ্জেরী! এই চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে আনোয়ারার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। এই বর্ষায় কাদা না পেরিয়ে পাকা রাস্তায় হাটার আশায় বুক বেধে থাকছেন।গ্রীস্ম যায় বর্ষা নামে,পিচ ঢালাই তো দুরের কথা ইট ছলিং বা ঠিকমতো সংস্কারটুকু জুটেনা বোয়ালিয়াবাসীর কপালে।এ যেন নিয়তি বড় নিষ্টুর, ভাগ্যর নির্মম পরিহাস।
অথচ দিনের পর দিন একেক মেঘা প্রকল্প গড়ে উঠছে সারাদেশে, তার পাশাপাশি থেমে নেই আনোয়ারা উপজেলাও।বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন আনোয়ারার দিকে।কি হতে চলেছে আনোয়ারা।একের পর এক প্রকল্প আর উন্নয়ন।ঠিক এমন সময়ে আনোয়ারার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ ও পিছু টেনে ধরেছে ২নং বারশতের বেশ কিছু কর্দমাক্ত মেঠোপথ। বর্তমানে প্রশংসনীয় কাজের প্রশংসা নিয়ে ভাসছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
গত ২৬তারিখ (মঙ্গলবার), বারশত গ্রামের এক শিক্ষিত সচেতন প্রবাসী তরুন মো.তারেক সোস্যাল মিডিয়া ফেবু'তে এক খোলা চিঠি পোস্ট করেন, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর খোলা চিঠিতে রাস্তাগুলির উন্নয়ন চেয়ে জোরালো দাবি জানান ।এরপর থেকে তার পোষ্টের ওয়ালে একের পর এক কমেন্টস করতে দেখা যায় এলাকাবাসীসহ দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের।সেই পোষ্টের নিচে অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম শাহ,ও অত্র ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মী.আবদুর রহিমও কমেন্ট করতে দেখা যায়।খোলা চিঠিটি আমাদের প্রতিনিধির নজরে আসলে সরেজমিনে রাস্তাগুলি পরিদর্শন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়,মরহুম আমজাদ আলী সড়ক ও মরহুম আশরাফ আলী তালুকদার সড়কসহ বোয়ালিয়ার মোড় থেকে বোয়ালিয়া ইসলামিয়া বড় মাদ্রসা সড়ক এই তিনটি সড়ক সরকার প্রদত্ত এলজিআরডি তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যবাহী সড়ক।এই রাস্তাগুলির প্রতিটি দুই প্রান্তে দুই মাথায় রয়েছে বেশ কিছু হাট বাজার,দোকান,স্কুল,মাদ্রসা,সড়কের ডানে-বায়ে রয়েছে শত শত বসত বাড়ি।এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত ও চলাফেরা করছে।প্রতিদিন স্কুল,মাদ্রসার ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ক্লাস করতে যায়।আরো রয়েছে ঐতিহ্যেবাহী জইদ্দারহাট,সড়ক দুটি সংযোগ করেছে পাশের আরেকটি ইউনিয়ন ৩নং রায়পুর।এই পথ দিয়ে প্রতিদিন ইমারজেন্সি চলাফেরা করছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের গাড়িও মানুষ। যাতায়াত করছে বন্দর কতৃপক্ষের গাড়িও মানুষ, যাতায়াত করছে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের গাড়ি ও মানুষ। রয়েছে বোয়ালিয়া হোসাইনিয়া নতুন মাদ্রসা,রয়েছে উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন খাইয়রিয়া মাদ্রসা,রয়েছে বন্দরের বাতিঘর কার্যালয়।এখানে দূঃখজনক বিষয় হলো এই রাস্তা দুটি এখনো কাচা,ধুলিমাখা, কর্দমাক্ত।আর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই এই রাস্তা দুটি অচল হয়ে পরে।
এলাকাবাসী আরো জানান,বারশত ইউনিয়নের আর কোথাও এভাবে কর্দমাক্ত রাস্তা নেই।মরহুম আমজাদ আলী সড়কে এত কাদা, মাটি,থাকে যে বহু স্কুল,মাদ্রসার ছাত্র- ছাত্রী, পথযাত্রী পা পিছলে বহুবার আহত হয়েছে।আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানাচ্ছি আমাদের কষ্ট লাগবে এগিয়ে এসে এই রাস্তা পিচ ঢালাই সড়ক করে দেয়া হোক।কোনো ডেলিভারির মা, স্ট্রোকের রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে না,আমরা এর একটি যুক্তিযুক্ত সুরাহা আশা করছি।কোনো কাদা ছুড়াছুড়ি নয় আমরা পাকা রাস্তা চাই!
এবিষয়ে বারশত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার মো.আবদুর রহিম উল্লেখিত পোষ্টে তার এক কমেন্টে জানান(হুবহু), আমি চেয়ারম্যান মহোদয় এর কাছ বারবার ৬ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন ব্যাপারে তুলে ধরলে উনি আশ্বাস দিয়েছেন কিছু দিন পর ইনশাআল্লাহ কাজ শুরু করবেন।
এবিষয়ে,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম শাহ উল্লেখিত পোষ্টে তার এক কমেন্টে জানান,(হুবহু) ধন্যবাদ,লিখাটি যথাযথ,ইনশাল্লাহ জাবেদ ভাইয়ের সহযোগিতায় কাজগুলো এগিয়ে নিতে জান দিয়ে চেষ্টা করবো।