আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৪ জানুয়ারী ২০২২ ০২:২০:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’ স্লোগানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান।

তিনি জানান, সারা দেশ থেকে ৬৪টি জেলার প্রায় ৪ হাজার আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (২৭ ও ২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে দুই দিনব্যাপী আবৃত্তি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহষ্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পদক’ প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (অনলাইন) বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।  

২৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় আবৃত্তিশিল্পীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে পরিচালিত অনলাইন উদ্বোধনী আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষের মাধ্যমে যুক্ত হবেন। এছাড়া অনলাইনে উদ্বোধনী আয়োজনে দেশের সকল জেলার আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠকরা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের মাধ্যমে অনলাইনে যোগদান করবেন। ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত চট্টগ্রামের আবৃত্তি সংগঠনগুলো আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে সারাদেশের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর ফেডারেশন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এ আয়োজন করেছে।  

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিস্ রুদ্র জানান, চট্টগ্রাম থেকে এই উৎসবে ৩ জন গুণী শিল্পীকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে। তাঁরা হলেন- মৃণাল সরকার (মরণোত্তর), রনজিত রক্ষিত (মরণোত্তর) এবং রাশেদ হাসান।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের (চট্টগ্রাম, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার) সদস্যভুক্ত প্রতিনিধিত্বশীল আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রায় ৫৫০ জন আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠক নিজ নিজ জেলায় এই উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। দেশের প্রতিটি জেলা এই উৎসবে তাদের আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আবৃত্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।  

আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের সংস্কৃতি তথা আবৃত্তির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক অধ্যায় হতে যাচ্ছে। এই প্রথম বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর মোর্চা বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের আবৃত্তি পদক দেওয়া হবে।

২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়কে এ পদক প্রদান করা হবে। এরপর প্রতি বছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এ পদক প্রদান করা হবে। এছাড়াও আবৃত্তি শিল্পের বিকাশ ও অবদানের জন্য ৫০ জন আবৃত্তিকার ও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান জাহাঙ্গীর, মাহবুবুর রহমান, মশরুর হোসেন, তাসকিয়াতুন নূর তানিয়া ও সেলিম রেজা সাগর।



সবচেয়ে জনপ্রিয়