রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নে প্রেমিকা অন্বেষা চৌধুরী আশাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর প্রেমিক জয় বড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আট নম্বর ওয়ার্ডের মহামুনি ভগবান দারোগার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
জয় বড়ুয়া (২৬) ওই এলাকার নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে। অন্বেষা চৌধুরী আশা (২০) স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ার উদয়ন চৌধুরী বাড়ির রনজিত চৌধুরী বাবলুর মেয়ে। তিনি নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের বিএ শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্বেষা চৌধুরী আশার সঙ্গে জয় বড়ুয়ার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি আশার সঙ্গে ফ্রান্স প্রবাসী এক ছেলের ১০ মার্চ বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। জয় চায়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরে বসবাসকারী সুব্রত বড়ুয়ার ফাঁকা বাড়িতে আশাকে ডেকে আনেন প্রেমিক জয়। মাঝেমধ্যে সেই বাড়িতে থাকতেন জয়। রাতে জয়কে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে রাত সোয়া আটটার দিকে জয়ের বোন, জেঠাতো ভাই ও বন্ধু ওই ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন। এই সময় জয় বড়ুয়াকে গলায় শার্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় এবং আশাকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও গলায় ছুরি ঢোকানোসহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা দা দিয়ে শার্ট কেটে জয়ের মরদেহ নিচে নামান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্বেষা চৌধুরী আশার বিয়ে ঠিক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জয় বড়ুয়া তাকে ডেকে এনে এ ঘটনা ঘটান।
রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।