বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও আগবরশাহ থানা সীমান্তে পাহাড় কাটার অভিযোগে নুরুদ্দিন নামে এক পোশাক ব্যবসায়ীকে পরিবেশ পরিদপ্তরের মামলা।
বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও আকবরশাহ থানা সীমান্তে পাহাড় কাটায় আজ সোমবার আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মনির হোসেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আকবর শাহ থানার বায়েজিদ লিং রোডের ৬ নাম্বার সেতুর দক্ষিণ পাশে দেয়াল নির্মাণের জন্য আনুমানিক ১০০ ফুট পরিমাণ পাহাড় কেটে ফেলছে আসামি নুর উদ্দিন। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬-এর খ ধারা অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাহাড় বা টিলা কাটতে পারবে না। তাই আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নুর উদ্দিনের প্রতিনিধি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি একটি প্রাকৃতিক ছড়ার ৮০ শতাংশ ভূমি দখল করে দেয়াল নির্মাণ করেছেন। খালটি ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেয়াল নির্মাণের ফলে ওই খালের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মামলার বাদী মো. মনির হোসেন দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, গত ৬ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাহাড় কাটা ও খাল ভরাট ও দখলের প্রমাণ পেয়েছি। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে জমা দিয়েছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ( সংশোধিত -২০১০ ) এর ৬ ( খ ) ধারা লঙ্ঘন করেছেন যা একই আইনের ১৫ ( ১ ) অপরাধ।
নুর উদ্দিনের শুনানিতে সময় উপস্থিত ছিলেন যে পাহাড় কাটা হয়েছে পরিবেশ অভিযোগ করেছে সেটি আমাদের প্রতিষ্ঠান নেস টেক্সটাইলের নামে লিজ নেওয়া, আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য পাহাড়ের কিছু মাটি কেটেছি। আর আমরা কোনো খাল ভরাট করিনি, সীমানা প্রাচীরের পাশে একটি নালা আছে, যেটি আমাদের জায়গায়। সেটিতে দেয়াল দিয়েছি।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, আজ ১৩ মার্চ এই বিষয়ে শুনানি হয়, এতে আসামি নুর উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন না তার পক্ষে আবদুল হক উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়েল করার আদেশ দিয়েছি। আজ বিকেলে আগবরশাহ থানায় মামলা এজাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।