নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার ৪৬/৪৭/৪১/৪২ পিলার দিয়ে মোট তিন দফায় মিয়ানমার সরকার নিয়ন্ত্রিত বিজিপি এবং সেনাবাহিনীর ১৮ সদস্য বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে বলে জানা যায়। সীমান্ত অতিক্রম করে প্রথম দফায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জামছড়ি এলাকার বিজিবি ক্যাম্পে মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল ) সকাল ৭টার সময় ১০ জন মিয়ানমার বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে।পরে তাদেরকে নিয়ম অনুসারে নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। দ্বিতীয় দফায় ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুপাড়া বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্ত পিলার ৪০/৪১ এর মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে সকাল ১০ টার সময় মিয়ানমার বিজিপির ২ সদস্য এবং সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে।অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি ৪৬/৪৭ পিলার এলাকা দিয়ে তৃতীয় ধাপে সিভিল পোষাকে নিরস্ত্র অবস্থায় মিয়ানমার বিজিপির ৫ সদস্য জামছড়ি বিজিবি ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করে, মোট তিন দফায় ১৮ জন মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর সদস্য মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা পযর্ন্ত বাংলাদেশের ভিতরে এসে আশ্রয় নেন। আশ্রয় নেওয়া সবাইকে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে আশ্রয়ের জন্য আসা মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন সদরের হেফাজতে রয়েছে বলে তিনি জানান।জামছড়ি এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবের বলেন,তার এলাকা দিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের বিজিবির ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান।