নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি এলাকার ৪০/৪১ সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে সোমবার (১৫) এপ্রিল সকাল ৮টা ৩১ মিনিটের সময় আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে প্রাণ ভয়ে মিয়ানমারের বুথিডং এলাকা থেকে এসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই সদস্য বাংলাদেশ বিজিবির বাইশফাড়ি বিওপিতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পরে তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র এবং গোলাবারুদ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদেরকে নিয়ম অনুসারে নিরস্ত্র করা হয়। সুত্রে জানা গেছে, সোমবার ১৫ এপ্রিল আশ্রয় নেওয়া দুই মিয়ানমার সেনা সদস্য সহ গত কয়েকদিনে অন্যান্য সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আশ্রয় নেওয়া আরো ১৪ জন মিয়ানমার জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সদস্যদের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সোমবার বিকেলের দিকে।জানা গেছে এই ১৬ জনের মধ্যে তিনজন অসুস্থ থাকায় তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে কক্সবাজারে। এবিষয়ে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাসরুকীর সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে,ফোন রিসিভ না করাতে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের দেশের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে চলে আসছে তুমুল যুদ্ধ ওই যুদ্ধে ব্যবহারিত হচ্ছে ভারী অস্ত্র এবং গোলাবারুদ তার সঙ্গে প্রতিদিনই ঘটছে আহত নিহতের ঘটনা।চলমান উক্ত সংঘর্ষের কারণে বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে যুদ্ধ ময়দানে টিকতে না পেরে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর সদস্যরা প্রাণভয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে আশ্রয় নিচ্ছে।