ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩১ নং সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে শুরু হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়নের টারগুছড়ার ৫৫ নাম্বার সীমান্ত পিলার পযর্ন্ত মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পযর্ন্ত মিয়ামারের অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলি এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজ সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভিতরে আসেনি বলে জানা গেছে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষের সঙ্গে কথা বলে। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে,মিয়ানমারের ভিতরে চলা বিদ্রোহী কয়েকটি গ্রুপ এবং সেনাবাহিনী,বিজিপির সঙ্গে যুদ্ধের প্রভাব নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে সাধারণ মানুষের মাঝে এর প্রভাব পড়ে এবং আহত নিহতের মত ঘটনা ঘটে। সীমান্ত এলাকার ঘুমধুম ইউনিয়নে সব চাইতে বেশি প্রভাব ফেলে,সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি, তাজা মর্টারশেল ঘুমধুম এলাকার ভিতরে আসাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তে ইউনিয়ের সীমান্তের কাছাকাছি থাকা পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করেণ কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। নাইক্ষ্যংছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে জানা যায়,সীমান্ত পরিস্থিতি মোটামুটি ভাল হওয়াতে বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরোপুরিভাবে খোলছে বন্ধ থাকা ৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঘুমধুমের ব্যাবসায়ী নুরুল আবছার আতঙ্ক প্রকাশ করে বলেন,ভয়ে আছি হঠাৎ করে যদি যুদ্ধ বিমান ব্যাবহার করে বিদ্রোহীদের উপর হামলা করে বসে সরকারি বাহিনী,হয়তো এই প্রভাব সীমান্ত ঘেঁষে থাকা আমাদের মত যারা আছেন তাদের উপর পড়তে পারে? জামছড়ি এলাকার রহমান কথাপ্রসঙ্গে বলেন,তাদের ৪৬/৪৭ এলাকার সীমান্ত পিলার বরাবর মিয়ানমারের ভিতরের অংশে শুনেছি ১০ কিলোমিটারের মধ্যে মিয়ানমার সরকার নিয়ন্ত্রিত কোন বাহিনীর অবস্থান নেই? তবুও কেন মাঝেমধ্যে ঐ সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে তুমুল যুদ্ধের ব্যবহারিত গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দ মিয়ামারের কিছুটা ভিতর থেকে এসে তাদের এলাকায় কাপন সৃষ্টি করে! নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবছার বলেল,তার এলাকার সীমান্ত এলাকা মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত শান্ত ছিল,কোন গোলযোগের খবর শোনেননি।ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান,তার দায়িত্ব পূর্ণ এলাকার সীমান্ত দিয়ে বিস্ফোরিত কোন আওয়াজ আসার খবর তার কাছে নেই।