নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা প্রায় ১১দিন ধরে পুরোপুরি শান্ত অবস্থায় থেকে ১০ মার্চ রোববার ভোর ৬টা থেকে ৯টা পযর্ন্ত কিছু সময় অনবরত আবার কিছুক্ষণ থেমে থেমে প্রায় কয়েকশো রাউন্ড গুলি এবং তিনটা মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ মিয়ানমারের অভন্ত্যর থেকে ৪৬ এবং ৪৭ নং সীমান্ত পিলারের মাঝ দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকায় আসে। জামছড়ি এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাবের বলেন,তিনিও নিজে শুনেছেন বিস্ফোরণের শব্দ,তিনি আরো বলেন কিছু শব্দ এসেছে মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে আবার কিছু বিস্ফোরণের শব্দ এসেছে মিয়ামারের অনেকটা ভিতর থেকে। উক্ত এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার থেকে যখন গোলাগুলির আওয়াজ আসা শুরু হয় তখন তিনি ঘুমে ছিলেন বিস্ফোরণের শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গেছে,তার ধারনা কম হলেও চারশ থেকে ৫ শ রাউন্ডের মত গোলাগুলির শব্দ তার কানে আসে। জামছড়ি এলাকার আরো কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা ধারণা করে বলেন,রোববার সকালে যে গোলাগুলির আওয়াজ এসেছে তা মিয়ানমারের অনজা ব্রিজ এলাকা থেকে এসেছে,তাদের ধারণা মিয়ানমারের ভিতরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে যুদ্ধ চলে আসছে বিগত কয়ে বছর ধরে,বিদ্রোহী কয়েকটি গ্রুপ এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী গুলোর সঙ্গে এরই অংশ হিসেবে হয়তো বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সরকার নিয়ন্ত্রিত কোন বাহিনীর রোববার ১০ মার্চ ভোর ৬টা থেকে ৯টা পযর্ন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।