আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুলকে প্রদীপের আইনজীবীর জেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২৯ নভেম্বর ২০২১ ০১:০৯:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামকে জেরার মধ্য দিয়ে অষ্টম দফার প্রথম দিনের আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে সিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপের আইনজীবীরা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বিপরীতে তাকে জেরা শুরু করেছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি বলেন, সপ্তম দফায় শেষ দুদিন মেজর সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম আদালতে তার জবানবন্দি প্রদান করেন। সপ্তম দফায় তার জেরা অসমাপ্ত রেখেই আদালতের কার্যক্রম শেষ হয়।

আজ অষ্টম দফায় প্রথম দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন অষ্টম দফায় আদালতের কার্যক্রম চলবে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে তদন্ত আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬৫ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আদালত যদি মনে করেন বাকিদেরও সাক্ষী গ্রহণ করবেন। না হয় পরবর্তী কার্যক্রমের দিকে চলে যাবেন। আশা করছি খুব দ্রুতই আলোচিত এ মামলার রায় প্রদান করবেন আদালত।

৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আলোচিত এ মামলায় গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যা ব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫ জনের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।