নগরে ডাবের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে নারকেল। ডেঙ্গু, করোনা, ডায়রিয়া রোগীদের পথ্য হওয়ায় ডাবের দাম ও চাহিদা বেড়েছে।
একটি ছোট ডাব খুচরায় ৮০ টাকা, বড় ডাব ১২০ টাকা বিক্রি হলেও একটি বড় নারকেল খুচরায় সর্বোচ্চ ৭০-৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
পূজা, পার্বণ, তালপিঠা, মধুভাত, পিঠাপুলির মৌসুম হওয়ায় চাহিদা বাড়ায় রিকশাভ্যানে নারকেল বিক্রি করছেন অনেকে।
খাতুনগঞ্জের নারকেলের আড়ত থেকে প্রতি শ' হিসেবে নারকেল কিনছেন তারা। সারাদেশে নারকেল গাছ থাকলেও চট্টগ্রামের আড়তে লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, হায়দারগঞ্জ, সুবর্ণচরের নারকেলই বেশি আসে।
একজন আড়তদার জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা নারকেল আছে আড়তে। লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।
নোয়াখালীর নারকেল বেপারী মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় খাতুনগঞ্জের আড়তে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ডাব কাটলে গাছের সমস্যা হয়। করোনার সময় ডাব বেশি কাটায় নারকেল উৎপাদন কমে যায়। এখন ডেঙ্গুর কারণে ডাব কাটা হচ্ছে দেদারসে।
তিনি বলেন, নোয়াখালী থেকে এক ট্রাকে ১২-১৩ হাজার নারকেল আসে খাতুনগঞ্জে। চন্দ্রগঞ্জ থেকে খাতুনগঞ্জ ৫০ পয়সা থেকে দেড় টাকা ভাড়া পড়ে। প্রতি নারকেলে ৩ টাকা খরচ পড়ে। গৃহস্থ গাছ থেকে পেড়ে দেবে। লোড আনলোড, ছিলা আমাদের খরচে। নারকেলের ছোবড়া মেশিনে ভাঙালে মণে ৭০০ টাকা পাই। নারকেলের চারা গজালেও মোটামুটি ভালো দাম পাওয়া যায় নার্সারিতে।
রমজান, ঈদ, পূজা, পিঠার মৌসুমে নারকেলের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া মজাদার রান্নায় নারকেলের দুধ, মুসলিমের মৃত্যুর পর ফলাহারেও নারকেলের চাহিদা থাকে।
আড়তে ছোট নারকেল ৪০-৪৫ টাকা। বড় ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পচা নারকেল ২-১ টাকা।