আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেখিকার ধর্ষণ মামলা

নিউজ ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪২:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলেন ই জিন ক্যারল (৭৮) নামে দেশটির এক লেখিকা।

৩২ বছর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) নিউইয়র্কের একটি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

 

 

যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সময়ের সীমাবদ্ধতা কাটাতে নতুন আইন ‘অ্যাডাল্ট সারভাইভারস অ্যাক্ট’ কার্যকর হওয়ার পর পরই মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

জিন ক্যারল অভিযোগ করেন, ১৯৯০ এর দশকে নিউইয়র্ক রাজ্যের একটি দোকানের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সময়সীমা কমানোর জন্য নতুন 'অ্যাডাল্ট সারভাইভারস অ্যাক্ট' কার্যকর হওয়ার পর এটাই আইনটির প্রথম মামলা।  

দেশটির স্ট্যাটিউট অব লিমিটেশন বা সীমাবদ্ধতা সংক্রান্ত সংবিধি অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করা না হলে সেটি তার কার্যকারিতা হারায়।  

যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে সেই সীমাবদ্ধতা দূর করতেই এই নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। আইন কার্যকর হওয়ার পর, নিউইয়র্কে যৌন নিপীড়নের মামলা করার জন্য ভিকটিমদের এক বছর সময় দেওয়া হবে। ফলস্বরূপ, ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ অতীতে যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করতে পারেন।  

মূলত এই সুযোগটাই নিলেন লেখিকা জিন ক্যারল।

অভিযোগকারী যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় নিয়মিত লিখতেন। সম্প্রতি এক বইতে তিনি লেখেন, ১৯৯০ সালে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের নারীদের ড্রেসিংরুমে তৎকালীন শিল্পপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন।

এদিকে, ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছেন। লেখিকা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন বলেও দাবি করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তার বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলাও করেছেন ট্রাম্প।

এর আগে, কথিত ওই ঘটনার পর বেশ কয়েক বছর পার হওয়ার কারণে ক্যারলকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করতে বাধা দেওয়া হয়।  

সম্প্রতি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসের নির্বাচনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির বাজে পারফরম্যান্স এবং মার-এ-লাগো ক্লাব-সহ অন্যান্য মামলায় তার বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের মধ্যেই তিনি এই ঘোষণা দেন।

তবে, আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, আগামীতে প্রেসিডেন্ট নিবার্চনে তার প্রার্থী হওয়ার পথ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।