ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে হঠাৎ বেড়েছে মসলার দাম। ডলার সংকট ও এলসি খুলতে না পারার কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের। জানা গেছে, ছোট ও বড় সাইজের এলাচ ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।
প্রতি কেজি জিরা ১৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। দারুচিনি ১৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। গোলমরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। লবঙ্গের দাম বেড়েছে দেড়শ টাকা। শুকনো মরিচ ৪২০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জায়ফল, ধনিয়া, হলুদ, জয়ত্রী সহ মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ৫০-১০০ টাকা।
বাংলাদেশ পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী সমিতি সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩০ শতাংশ পণ্য আমদানি কমেছে। খাতুনগঞ্জ ঘিরে দেশের আমদানিকৃত মসলার ৭০ শতাংশ বিকিকিনি হয়। ডলার সংকটে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচি, জিরা, আদা, হলুদ, রসুন ও গুঁড়া মসলা-এই নয় ধরনের মসলার বাজারে শীর্ষে আছে চীন। এরপর ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের অবস্থান। আদা, রসুন ও হলুদ দেশে উৎপাদন হলেও চাহিদার তুলনায় কম। এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ ও জিরা আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স এমআই ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী আরিফ মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, আমদানি কমে যাওয়া, নতুন এলসি খুলতে না পারা, ডলার সংকট ও পরিবহন খরচও বেড়ে যাওয়ায় মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি কমেছে বিক্রিও।