নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে প্রথমবারের আয়োজন করা হচ্ছে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। দুই বিভাগে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ছয়জনকে দেওয়া হবে বিশেষ পুরস্কার। একই সঙ্গে ছয়জন বিজয়ীর পিতামাতাকে নেওয়া হবে ওমরাহ হজে। শনিবার (১০ জুন) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী সংস্থা জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পূর্ণাঙ্গ ৩০ পারা ও ১৫ পারার ২টি পৃথক বিভাগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ পারা বিভাগে ১ম পুরস্কার ১ লাখ ১ টাকা, ২য় পুরস্কার ৫০ হাজার ১ টাকা, ৩য় পুরস্কার ২৫ হাজার ১ টাকা এবং ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে ১০ হাজার ১ টাকা পুরস্কার।
অনুরূপভাবে ১৫ পারা বিভাগে ১ম পুরস্কার ৫০ হাজার ১ টাকা, ২য় পুরস্কার ২৫ হাজার ১ টাকা এবং ৩য় পুরস্কার ১৫ হাজার ১ টাকা এবং ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে ৫ হাজার ১ টাকা পুরস্কার। এছাড়াও উভয় বিভাগের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী অর্থাৎ মোট ৬ জনের পিতাদের জন্য থাকবে পবিত্র (ওমরাহ) হজ পালনের সুবর্ণ সুযোগ, যার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচাদি জলিল-জাহান ফাউন্ডেশন বহন করবে।
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, গত ৮ মে ২০২৩ হতে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটি আগামী ২০ জুন পর্যন্ত চলবে। ৩০ পারা বিভাগে অনুর্ধ্ব ১৬ বছর ও ১৫ পারা বিভাগে অনুর্ধ্ব ১৪ বছরের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতাটি প্রাথমিক পর্যায়ে সাতকানিয়ার কেরানীহাটস্থ সী-ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই ৪ দিন ব্যাপী মোট ৪টি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে।
জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজরা আন্তর্জাতিক মন্ডলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো প্রতিযোগীদেরকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান অর্জনের মাধ্যমে দেশের জন্য সুনাম ও সম্মান বয়ে আনছেন। এর অন্যতম কারণ দেশে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতাসমূহ। কারণ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলোতে শীর্ষস্থান অর্জনকারীরাই পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে শীর্ষস্থান অর্জন করছেন। এসব প্রতিযোগিতা ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পবিত্র কুরআন হিফজ ও তাজবীদের প্রতি অধিক যত্নবান হতে অনুপ্রাণিত করে এবং এই ধরনের প্রতিযোগিতাগুলোকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের হাফেজে কুরআন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ও চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ১৯ আগস্ট সাতকানিয়ার কেরানীহাটস্থ সী-ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে সকল প্রতিযোগী, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সকল মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ, প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের সদস্য মুজিবুল হক চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বাহাউদ্দীন জুয়েল, সাজ্জাদ খালেদ সুমন, সাইফুদ্দিন চৌধুরী, মো. আলী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য বোখারী আযম, সাংস্কৃতিক সংগঠক খুরশীদ উল আলম খোকন, আব্দুল মালেক খাঁন, কামরুল রশীদ পারভেজ, সাইফুদ্দিন খালেদ, হাফেজ মাওলানা আরিফ, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম আল কাদেরী, হাফেজ মাওলানা তাওহীদুর রহমান, হাফেজ মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।