সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সাগরে মাছ আহরণ শেষে ঘাটে ফেরার পথে মাছ ভর্তি তিনটি ফিশিং ট্রলার জব্দ করেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। সোমবার রাতে উপজেলার বদরখালী ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ কোস্ট গার্ডের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এসময় তিনটি ফিশিং ট্রলার থেকে ১২ জন মাঝিমাল্লাকে আটক করা হয়। পরে অভিযান টিম তিনটি ফিশিং ট্রলারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জব্দকৃত মাছ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় নিলাম দিয়েছেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে আটক মাঝিমাল্লাকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তাজিন আহমেদ ফারহান। চকরিয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনার আলোকে ২১ দিন সাগরে সবধরনের মাছ আহরণ বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার রাতে আমরা জানতে পারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদ বদরখালী ফেরিঘাট এলাকায় তিনটি ফিশিং ট্রলার সাগর থেকে মাছ আহরণ করে ফিরেছে। তিনি বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তাজিন আহমেদ ফারহান স্থানীয় বদরখালী নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ডের সহায়তায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মাছ ভর্তি তিনটি ফিশিং ট্রলার জব্দ ও ১২ জন মাঝিমাল্লাকে আটক করা হয়। পরে তিনটি ট্রলারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে অভিযান টিম। এসময় ফিশিং ট্রলারগুলোতে রক্ষিত ৬২ ড্রাম বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক মৎস্য মাছ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকায় প্রকাশ্যে নিলাম দিয়ে উল্লেখিত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তাজিন আহমেদ ফারহান বলেন, আটক মাঝিমাল্লারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সাগরে মাছ আহরণে যাওয়ার বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন। ফলে আটক ১২ মাঝিমাল্লাকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।