প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার ৪ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে ১৫ এপ্রিল সোমবার।
উপজেলাগুলো থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানায়, আগামী ১৭ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ২২ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহার ও ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার প্রার্থীরা হচ্ছেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবুল চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, নীল বর্ণ চাকমা, রতন বিকাশ চাকমা, সাথোয়াই অং মারমা ও হরি মোহন চাকমা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রতন বিকাশ চাকমা ও রাজেন্দ্র চাকমা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিনুচিং মারমা, সাগরিকা চাকমা ও অয়ক্রোইপ্রু মারমা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলাম, মো. রহিছ উদ্দিন ও আবুল কাশেম ভূঁইয়া মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- মো. জালাল মিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, অনি রঞ্জন ত্রিপুরা ও মো. আলী হোসেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা বেগম, মনোয়ারা বেগম ও মোছা. আমেনা বেগম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন
মানিকছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল হামিদ। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. জাহিদুল আলম মাসুদ, সামায়ুন ফরাজি সামু, চলাপ্রু মারমা নিলয় ও মোক্তাদির হোসেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাহেলা আক্তার ও নূর জাহান আফরিন লাকী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
রামগড় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, মো. আব্দুল কাদের ও কংজ অং মারমা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. উমর ফারুক, মো. মোবারক হোসেন, মো. শামসুদ্দিন মিলন, মো. আনোয়ার ফারুক ও মো. নুরুল আমিন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা আক্তার ও নাছিমা আহসান মিলা।
খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল আলম বলেন, সারা দেশে নতুন নিয়ন শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আগামীকাল বাঁচায় শুরু। কোনো প্রার্থী বাদ পড়লে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকবে।