আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে ২টি ঘটনায় পুলিশের সফল অভিযান, ৪ দুস্কৃতিকারি আটক

মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি: | প্রকাশের সময় : রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ ১১:২৯:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়িতে ২টি ঘঁনায় পুলিশ সফল অভিযান চালিয়ে অপরাধ চক্রের ৪সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসব ঘটনায় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন। 

জানা যায়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে অপহৃত কাঠ ব্যবসায়ী আমিনুল হক ভাসানীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । অপহরণের ঘটনায় মোঃ রাকিব হোসেন ও মোঃ সহিদুল হোসেন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের কাঠব্যবসায়ীকে বাগান দেখানোর কথা বলে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা । এসময় অপহৃত ব্যবসায়ীর মোবাইল থেকে ফোন করে থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দীঘিনালার জামতলী এলাকা থেকে বিকালে দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’

আসামীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় অপহৃত ব্যবসায়ীর ছেলে বাদী হয়ে দীঘিনালা থানা মামলা দায়ের করেছে। গ্রেতকারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অপহৃত ব্যবসায়ী আমিনুল হক ভাসানী জানান,‘ সকালে দীঘিনালা বাসস্ট্যান্ড এলাকা বাগান দেখানোর কথা বলে মোটর সাইকেলে করে আমাকে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় চার ব্যক্তি আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে টাকা দাবি করে। আমার মোবাইল নিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়। ঘটনার পর বিকালে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেন।

এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে টাঙ্গাইল হতে উদ্ধার ও ২জন অপহরণকারীকে গ্নেফতার করেছে পুলিশ।

 

এ ঘটনায় প্রেস ব্রিফিংকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, অপহৃত ছাত্রীর বাড়ি তৈকাতাং এলাকায়। সে খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের দ্বাদশ ১ম বর্ষের ছাত্রী। তার বড় বোনের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতো। গত ২৪মার্চ সকালে বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের পিতা তার বড় মেয়ের নিকট হতে জানতে পেরে চারদিকে ভিকটিম-কে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে নিখোঁজ ডায়েরী করেন।

 

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং সাক্ষীদের নিকট হতে ভিকটিমের পিতা জানতে পারেন যে, ভিকটিম কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে তার বড় মেয়ের বাসা থেকে বের হয়ে মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ে গাড়ীর অপেক্ষায় থাকার সময় মোঃ রাকিব হোসেন (২০) ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহায়তায় জোরপূর্বক সিএনজি গাড়ি যোগে ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

 

পরে ভিক্তিমের বাবা উক্ত রঞ্জন ত্রিপুরা বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করলে তার লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার মামলা রুজু করা হয় ।

 

পুলিশ সুত্রে জানা যায়,মামলার পরপরে বাদীর মামলার তদন্তের প্রারম্ভে আধুনিক তদন্ত কৌশল ও বিশ্বস্থ গুপ্তচর নিয়োগ করে পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের সার্বিক তত্ত্ববধানে ও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক টিম ২৪ ঘন্টার মধ্যে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা কারে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানা এলাকা থেকে অপহরণকারী আসামী মোঃ রাকিব হোসেন(২০) ও আমিনুল ইসলাম(২৫)-কে গ্রেফতার করা হয় এবং ভিকটিম-কে উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ এবং ভিকটিম কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।