আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কিছুটা শান্তি ফিরেছে ভারতের মণিপুরে

নিউজ ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৭ মে ২০২৩ ১১:১৫:০০ পূর্বাহ্ন | আন্তর্জাতিক

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলসহ যেসব জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছিল, শুক্রবার তা শিথিল করা হয়েছে।  

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পূর্ব এবং পশ্চিম মণিপুরে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। আগামী সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মণিপুর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।  

বৃহস্পতিবার অমিত শাহ বলেছিলেন, কিছু দিনের মধ্যেই আমি নিজে মণিপুর যাব। সেখানে আমি ৩ দিন থাকব। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মণিপুরবাসীর সঙ্গে কথা বলব।

 
তবে ওইদিনই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের ইম্ফলের বাড়িতে হামলা হয়েছিল।

সংঘর্ষের শুরু যেভাবে
মনিপুরের সংখ্যাগুরু মেইতেই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে তপশীলি উপজাতি বা এসটি তালিকাভুক্ত হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের বসবাস মূলত ইম্ফল উপত্যকায়। এদিকে পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করেন যে আদিবাসীরা, তাদের একটা বড় অংশ মূলত কুকি চিন জনগোষ্ঠীর মানুষ। সেখানে নাগা কুকিরাও যেমন থাকেন কিছু সংখ্যায়, তেমনই আরও অনেক গোষ্ঠী আছে।

মেইতেইরা তপশীলী উপজাতির তকমা পেয়ে গেলে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হবেন, এই আশঙ্কা ছিলই। তার মধ্যেই ৩ মে হাইকোর্ট মেইতেইদের তপশীলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করতে বলে।

তার বিরুদ্ধে পাহাড়ি উপজাতি জনগোষ্ঠী বিক্ষোভ মিছিল করে। সহিংসতার শুরু সেখান থেকেই, যা খুব দ্রুত পুরো রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

তপশীলি উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ আসার আগে থেকেই অবশ্য সরকারের এবং মেইতেইদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন পাহাড়ি উপজাতিরা।

ওইসব পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে সরকার ‘বেআইনি দখলদার’ সরাতে শুরু করেছিল সম্প্রতি। এগুলো সবই নাগা এবং কুকিদের বসবাসের এলাকা ছিল। 

সূত্র :  আনন্দবাজার ও বিবিসি বাংলা।