চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন বন্দর এলাকা থেকে নাসরিন আক্তার প্রমি (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৬ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দর এলাকার ভিকটিমের শুশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ নাসরিন আক্তার বন্দর এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ও বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল গ্রামের মো. আবদুল সবুরের মেয়ে।
এদিক ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ভিকটিমের স্বামী জয়নাল আবেদীন (২২) ও শাশুড়ী মনোয়ারা বেগমকে (৫০) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় বছর আগে আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিমচাল গ্রামের মো. সবুরের মেয়ে নাসরিনের (ভিকটিম) সাথে একই উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বন্দর এলাকার মো. জসিম মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীনের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।
এরপর থেকে বিভিন্ন ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ভিকটিমের সাথে স্বামী জয়নাল, শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম ও ননদ তাহমিনা আক্তার তানিয়া ঝগড়াঝাটিসহ মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। পরে ভিকটিম এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে যায়। এর কিছুদিন পর স্বামী এসব ঘটনা আর করবে না বলে আবার ভিকটিমকে শুশুর বাড়িতে নিয়ে যায়।
ঘটনার দিনও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের সাথে শুশুর বাড়ির লোকজনের ঝগড়াঝাটি, অসভ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করে।
পরে একই দিন রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ভিকটিমের বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায়, ভিকটিম রুমের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে ভিকটিমের পরিবারের দাবি শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভিকটিম আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী এসআই মো. মামুন ব্যস্ত আছি বলে সাংবাদিকদের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় দুজন আটক আছে।