কক্সবাজার সদর কলেজ গেট এলাকার উত্তর জানারঘোনায় কক্স কিং ও ডায়মন্ড নামে দুটি গরু নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। গরু দুটি কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে বলে ধারণা স্থানীয় খামারিদের।
কালো রং আর সুঠাম দেহের অধিকারী কক্স কিংকে চার-পাঁচজন মানুষ মিলে সামলানো কঠিন। ওজন ২৮ মণ। দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। লাল রঙের ডায়মন্ডও পিছিয়ে নেই। তার ওজন ২০ মণ।
সোমবার (২৭ জুন) সকালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেট এলাকার উত্তর জানারঘোনার খামারি মো. শফিকুল রহমানের খামারে ষাঁড় দুটির দেখা মিলে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন তিনি। এছাড়া তার খামারে আরও অনেক মহিষ ও গরু রয়েছে।
খামারের মালিক শফিকুল রহমান বলেন, প্রায় চার বছর ধরে আমি কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে বড় করছি। নিজের হাতে তাদের যত্ন নিয়েছি। কক্স কিং জেলার মধ্যে সেরা গরু।
তিনি আরও বলেন, বড় গরু পালনে ঝুঁকি একটু বেশি। তাই এ বছর গরু দুটিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটি গরু ৩০ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেব। প্রতিদিন দুই বেলা ১০ কেজি করে খাবার খায় গরু দুটি। এর মধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের গুড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভাতও খায়। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার খাবার লাগে তাদের। কোনো ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়েছি।
এদিকে কক্স কিং ও ডায়মন্ডকে দেখতে প্রতিদিনই খামারে ভিড় করছে লোকজন। গরু দেখতে আসা মো. ফিরোজ বলেন, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এত বড় গরু আর নেই।