আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বান্দরবান সীমান্ত পরির্দশন শেষে বিজিবি প্রধান:

একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে ব্যাংক ডাকাতির মতো দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবেনা

এইচ এম সম্রাট, বান্দরবান : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন | পার্বত্য চট্টগ্রাম

কেএনএফ সন্ত্রাসীদের শসস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের সম্পুর্ন নির্মুল করতে বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে  করার লক্ষ্যে সকল বাহিনীর সমন্বয়ে পাহাড়ে অভিযান চলছে।

 

সোমবার  (১৩ মে)  বিকেল চারটায় বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী   ।  

 

এর আগে রুমা দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন শেষে সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সাথে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরে বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

 

বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতোর দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবেনা। তাছাড়া অত্র এলাকার সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসীদের ঘটনা সমর্থন করেনা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

 

তিনি বলেন, যৌথবাহিনী অভিযান চলছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে এসেছেন। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ান বিজিবিরা অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে উৎসাহ ও পরামর্শ প্রদান করার জন্য এসেছেন।

 

তিনি আরো বলেন, বলিপাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সকল সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান। 

 

এসময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম,  বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদি হাসান, রুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্ণেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

 

উল্লেখ্য যে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।