ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিশোধমূলক এ হামলার অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও গবেষণাকেন্দ্রগুলো।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বৈঠকে বসে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। সেখানে ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মন্ত্রিসভা। তবে কীভাবে এ জবাব দেওয়া হবে সে বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খোলেননি মন্ত্রিসভার কেউ।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামলার ধরন ও লক্ষ্যবস্তু নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা না হলেও ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও গবেষণাকেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেট ভবনটি। হামলায় নিহত হন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় দুই কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। জবাবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে তিনশ'র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ভূখন্ডে এর আগে আর কখনও সরাসরি হামলা চালায় নি দেশটি। এ হামলার জবাবে এবার ইরানে পাল্টা আঘাত হানার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল।
এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে আবারও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী পর্যবেক্ষণ শুরু করবে সংস্থাটি।
ইসরায়েলের হামলার পূর্বাভাস পেয়ে রোববারই (১৪ এপ্রিল) নিজেদের শক্তিকেন্দ্র ও গবেষণাকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয় ইরান। সোমবার সেগুলো খুললেও সতর্কতাবশত আইএইএ পরিদর্শকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেখানে। মঙ্গলবার থেকে আবারও যথারীতি পরিদর্শন শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিভিন্ন কেন্দ্র নিয়মিত পরিদর্শন করে আইএইএ।