নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান
ফজলুল করিম সাঈদীর সাথে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট। অন্যদিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলমের সাথে সাঈদীর দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকের ভোটের ব্যবধান ৩ হাজার ৮৭০ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১১৪টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে একটানা ভোট গ্রহণ চলে।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফখরুল ইসলাম।
এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিনসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে সর্বশেষ ফলাফলে জানাগেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন বেলাল উদ্দিন শান্ত ও হাঁস প্রতীক নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহানারা পারভীন। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে, ফজলুল করিম সাঈদী সাবেক সদস্যকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়ার কথা শুনে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার গ্রামে-গঞ্জের অলিতে-গলিতে সাধারণ মানুষের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস ও আনন্দ দেখা গেছে। প্রতিটি এলাকায় চলছে দোয়াত কলমের বিজয় মিছিল ও মিষ্টি মুখ।
কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠভাবে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
উল্লেখ্য, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ সর্বমোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটার রয়েছে। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৬ জন।