রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীর কাটায় অবস্থিত কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বাঁকখালী রেঞ্জের আওতাধীন কচ্ছপিয়া বিটের সদ্য বহিষ্কৃত হেডম্যান মনজুর আলমের অপকর্ম এখনো থেমে নেই। তার বিরুদ্ধে ঐ এলাকার মানুষের কাছ থেকে বন বিভাগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জন থেকে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কচ্ছপিয়া বন বিটে রেজিস্ট্রার অনুযায়ী কোন হেডম্যানের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এরপরেও মনজুর দীর্ঘদিন কচ্ছপিয়া বিটের হেডম্যান পরিচয় দিয়ে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বসে। সেই বিষয়ে বন বিভাগ অবগত হয়ে গত ২৫ জানুয়ারী তাকে বিটের অধিনে কোন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বন বিভাগের পক্ষে এক পরিপত্রের মাধ্যমে বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তুু এরপরেও মনজুর আলম ও তার ছোট ভাই ওসমান মিলে বন বিট কর্মকর্তা,বন প্রহরীর নাম ভাঙ্গিয়ে এবং বন মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভুগীরা। কচ্ছপিয়া মৌলভীর কাটার নুরুল কবির জানান তাকে মামলায় না দেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে বহিষ্কৃত হেডম্যান মনজুর নিয়েছে ১০ হাজার টাকা, তার ভাই ওসমান নিয়েছে ৩ হাজার টাকা। এর পরে দেখি ঠিকই তার বিরুদ্ধে বন মামলা হয়েছে। অপরদিকে বিট অফিস থেকে বাদ দেওয়ায় মনজুর ও তার ভাই মৌলভীর কাটা বন বিট অফিসে হামলা ও বিট কর্মকর্তা এবং বন প্রহরীদের হুমকি-ধমকি ও বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। কচ্ছপিয়া বন বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। হেডম্যান মনজুর ও তার ভাই ওসমান কচ্ছপিয়ার এক সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে ফেইক আইডি খুলে মিথ্যা,ও ষড়যন্ত্রমূলক পোস্ট করে মানহানি করেছে। কচ্ছপিয়া বিটের সামাজিক বনায়ন ধ্বংসকারী বহিষ্কৃত হেডম্যান মনজুর
ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এলাকায় মানুষ ফুসে উঠেছে।এছাড়াও ষড়যন্ত্র করে এলাকার অনেক মানুষকে ফাঁসানোর অহরহ অভিযোগ তারা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউনিয়নের সকল শ্রেণীর মানুষ।