আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঘূর্ণিঝড় রিমাল

মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিহীন প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক, কৃষি খাতে ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

নিজস্ব প্রতিবেদক, মিরসরাই : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ ০৮:৪৭:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে মিরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৮ মে) সকাল থেকে উপজেলার প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টিতে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার প্রায় ২৬ হেক্টর মৎস্য প্রকল্পের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ৭৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকা বাতাসে ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজী ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে টিনসেট ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি ভেঙ্গেছে ৩৭টি, তার ছিঁড়েছে ৩৪০টি স্পটে, ক্রস আর্ম ভেঙ্গেছে ৩৬টি। উপজেলায় প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী উদয়ন দাশ গুপ্ত বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ২২টি খুঁটি ভেঙ্গেছে, তার ছিঁড়েছে ২৫০টি স্পটে, ক্রস আর্ম ভেঙ্গেছে ১৬টি। ১৮ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আরো ৫৪ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন রয়েছে। মাঠে ১৮টি টিম কাজ করতেছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশা করি।

বারইয়ারহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ১২টি খুঁটি, ৮টি ক্রস আর্ম ভেঙ্গেছে। তার ছিঁড়েছে ৪০টি স্পটে। ৬টি টিম মাঠে কাজ করতেছে। ২৫ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি।

সীতাকুন্ড জোনাল অফিসের ডিজিএম পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, আমার অধীনে থাকা মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী ইউনিয়নে ৩টি খুঁটি ও ১২টি ক্রস আর্ম ভেঙ্গেছে। ৫০টি স্পটে তার ছিঁড়েছে। ১০ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপজেলার ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবজী মাছা বাতাসে ভেঙ্গে গেছে। দ্রæত পানি না নামলে ক্ষতির পরিমান বাড়বে। পরিপূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি আগামী ২দিনের মধ্যে নির্ধারণ করা যাবে। ¬

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের অতিবৃষ্টিতে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার ৩২টি খামারের ২৬ হেক্টর পুকুর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৭৮ লাখ টাকার কার্প জাতীয় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মুহুরী প্রজেক্টের পুকুরগুলো পাশাপাশি লাগানো থাকায় পাড় থাকে একদম সরু। ফলে অল্প বৃষ্টিতে পাড় ভেঙ্গে মাছ পাশ^বর্তী পুকুরে ভেসে যায়।