মিরসরাইয়ে পুকুরে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আবু তাহের ভূঁইয়া সহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মিঠানালা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এস এম আবু তাহের ভূঁইয়া ১০নং মিঠানালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
হামলায় আহতরা হলেন, এস এম আবু তাহের ভূঁইয়া (৬৫), স্ত্রী লায়লা বেগম (৫০), তার বড় ছেলে মাসুদ পারভেজ (৩৭), ছোট ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ (৩৫), নুর উদ্দিন (২৮), ফিরোজা বেগম (৩৪) সহ প্রায় ১০ জন। আহতদের মধ্যে এস এম আবু তাহের ভূঁইয়া, লায়লা বেগম, মাসুদ পারভেজ ও নিয়াজ মোর্শেদের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) স্থানান্তর করানো হয়। হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।
আহত মাসুদ পারভেজ জানান, আমাদের পারিবারিক একটি পুকুরে সেচ দেওয়ার জন্য আজ সকালে শেলো মেশিন বসায় শরীফুল ইসলাম আবির। পুকুর সেচ দেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে না জানানোয় আমার বাবা তাদের মেশিন বন্ধ করে দিতে বলে। পরবর্তীতে দুপুরে বাবা নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় শরীফুল ইসলাম আবির, লায়লা আঞ্জুমান, সিরাজুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম, আবুল হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম সহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাবার উপর হামলা করে। এসময় বাবাকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে আসলে তারা আমাদের উপরও হামলা করে। হামলায় আমার মা, ভাই সহ পরিবারের একাধিক সদস্য আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, জায়গা সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবু তাহের ভূঁইয়া সহ তার পরিবারের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা চমেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এঘটনায় থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।