রাঙামাটির রাজস্থলীতে ঠিকাদারের গাফিলতিতে তিন বছরেও শেষ হয়নি রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের সম্প্রতি এম পিও ভুক্ত হওয়া ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ।
এদিকে নতুন ভবন নির্মাণে পুরাতন ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনিশ্চতায় পড়েছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। সূত্রে জানা গেছে, ঘিলাছড়ি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫০ জন। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত বিদ্যালয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২০১৯ সালের শেষে শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকার বরাদ্ধে মেসার্স উথিইমং এন্টারপ্রাইজ ( ঠিকাদার) কে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ২১ সালের জুন মাসে বেঁধে দেওয়া হলেও কেটে গেছে প্রায় তিন বছরের অধিক।এখনো পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি এ ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স উথিমং এন্টারপ্রাইজ । ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে শিক্ষা অধিদপ্তর (ফ্যাসেলেটিস বিভাগ) কে লিখিত ভাবে জানিয়েও সুফল পাচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে গাদাগাদি করে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়েও শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকেরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, এত দিনেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম অনিশ্চতার মধ্য দিয়ে ক্লাস করছি। যার ফলে প্রচন্ড গরমে খুবই কষ্ট হয়। ঝড় বৃষ্টি হলে আরো বেশী ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজল কুমার তনচংগ্যা বলেন, আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স উথিমং এন্টারপ্রাইজ কে দ্রুত ভবন নির্মান কাজ শেষ করার জন্য বারবার অনুরোধ করছি। ঠিকাদারী প্রকল্পের নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি কেন জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ সহকারি প্রকৌশলী শিমুল বাবু বলেন, আঞ্চলিক সংগঠনের চাঁদার কারণে এবং নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু করবেন জিজ্ঞেস করা হলে তার কোন সদুত্তর তিনি দেননি। এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ে মধ্যে বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে পাঠদান স্বাভাবিক করণে স্থানীয় অভিভাবকগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আওয়ামীলীগের মহিলা সভানেত্রী সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লংবতি ত্রিপুরা বলেন, দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন না হওয়াতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দ্রুত নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানান।