আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চকরিয়ায় সাবেক এমপি ও দুই ওসির বিরুদ্ধে মামলা

বিএনপির সভায় হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ১১ বছর পর মামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর আলমসহ ২১ জনকে অভিযুক্ত করে এবং চকরিয়া থানার তৎকালীন দুই ওসি ও দুই এসআইকে আসামি করে আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছ। বিএনপির সভায় গুলি, লাঠিপেটা এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১১ বছর পর আদালতে  মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

সোমবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই বিএনপি নেতা বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। 

 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী জকরিয়ার আইনজীবী গোলাম সরওয়ার। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে দায়ের করা একটি মামলার বাদী চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জকরিয়া। অপর আরেকটি মামলার বাদী উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোণা এলাকার বাসিন্দা আল কুয়াছ।

 

মামলার বাদী মোহাম্মদ জকরিয়ার আইনজীবী গোলাম সরওয়ার জানান, গত ২০১৩ সালে ৯ এপ্রিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে চকরিয়া পৌরশহরে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে বিএনপি-যুবদলের মিছিলে হামলা করে। এ সময় মামলার বাদী মোহাম্মদ জকরিয়াসহ বিএনপি-যুবদলের একাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন। ঘটনার ১১ বছর পর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোহাম্মদ জকরিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দায়েরকৃত মামলায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জাফর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক, চকরিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বডুয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিয়ামত উল্লাহ, থানার এসআই রুহুল আমিন ও  এসআই মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে।

 

অপর মামলায় ২০০৯ সালে ১৪ জুন উপজেলা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আল কুয়াছ বাদী হয়ে জাফর আলমসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলা দুটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারকে নির্দেশ দেন।