রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফটিকছড়িতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সুষ্টুভাবে নির্বাচন করতে ১৪২টি ভোটকেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে একযোগে এ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার ১৪২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার নানুপুর গাউছিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে ভোট দেন স্থানীয় সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
এছাড়াও সকালে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন মুহুরি গোপালঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজের ভোট প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। আমি শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
অপরদিকে, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বখতিয়ার সাঈদ ইরান নিজের এলাকার উত্তর ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। তিনি বলেন, মানুষ নতুন নেতৃত্ব চায়। আশা করি তারা আমাকে ভোট দেবেন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলার প্রায় সবকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম। সকাল থেকে উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করে এমন চিত্র দেখা যায় । তবে প্রার্থীরা আশা করছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে পারে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুণ উদয় ত্রিপুরা বলেন, ১৪২টি ভোটকেন্দ্রে এক হাজার ২টি বুথ রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ১৪২ জন প্রিসাইডিং, এক হাজার ২ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং দুই হাজার ৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এখানকার লোকসংখ্যা প্রায় ছয় লাখের বেশি। নারী পুরুষ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭ জন।
নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘১৪২ টি কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ২৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ মোট দুই হাজার ৯৪৫ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে উপজেলাজুড়ে নির্বাচনী এলাকায় র্যাব, বিজিবি এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স ও পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন।'