ফটিকছড়িতে মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে আজম খান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ পরাণ চৌধুরী বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আজম খানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আজম খান একই মোঃ ইসলামের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে আজম খান বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় স্থানীয় নূরুল আজম, রুবেল ও মোস্তফা আহমেদ এর নেতৃত্বে ৫/৬ জন তাঁর উপর অথর্কিত হামলা করে। এসময় তাদের হাতে থাকা রাম দা, ছুরি, লাঠি ও লোহার রডের আঘাতে আজম খানের মাথা ফেটে যায়। স্থানীয় মুসল্লিরা এগিয়ে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাজিরহাট মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখান তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরুল আলম আশেক চিকিৎসকদের উদ্বৃত্তি দিয়ে জানান, আজম খান মাথা ফেটে গেছে। বেশ কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।
আজম খানের ভাই মোহাম্মদ মাসুদ জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ীর মসজিদের জায়গা নিয়ে নুরুল আজমের সাথে মসজিদের মুসল্লিদের বিরোধ চলে আসছিল। নুরুল আজম মসজিদের ৯ শতক জায়গা দখল করে রেখেছে। মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়রা জায়গাগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য নুরুল আজমকে অনুরোধ করলেও সে জায়গাগুলো মসজিদকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। আমার বড় ভাই মসজিদের জায়গা উদ্ধারের পক্ষে থাকায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল আজম, রুবেল ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা হমলা চালিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজম খান এ প্রতিবেদককে বলেন, মসজিদের জায়গা অবৈধভাবে দখলকারীরা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। মসজিদের মুসল্লিার এগিয়ে না আসলে আমাকে খুন করে ফেলতো। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত রুবেলের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও সে ফোন তুলেননি।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হক জানান, এ ঘটনার বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।