ফটিকছড়িতে নিজের ফসলী জমির রক্ষা করতে প্রশাসন বরারব অভিযোগ দিয়েছেন ফকিরাচাঁন এলাকার শমসুল আলম (৬০) নামে এক কৃষক।এতে ওই এলাকার প্রভাবশালী করিম বলিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কৃষক। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ফকিরাচাঁন মৌজার আর.এস খতিয়ান নং-৩৫৫, আর.এস দাগ: ১৪৬৭/১৪৬৮, বিএস খতিয়ান-১৫৬২, বি.এস. দাগ : ৩৯৪৮/ ৮১৩৮/ ৮১৩৭/ ৪১৩০ দাগের আন্দরে ৪৪ শতক জমির মাটি কেটে অনত্র বিক্রি করছে। ফলে কৃষি জমিতে থাকা সব ফসলাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে। জানা যায়, হালদা নদীর পাড় আর ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে অভিযুক্তরা। ফলে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় প্রবল বন্যা কবলিত হয়ে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে শমশুল আলম বলেন, তারা জোরপূর্বক আমার দখলি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গাছপালা নষ্ট করে ফেলেছে। বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে। বাধা দিতে এলে তাদের জায়গা দাবী করে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। ছবি তুলতে গেলে মনির আমার ছেলেকে মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। অভিযুক্ত মনির বলেন, মাটিগুলো আমার মৌরশী সম্পত্তি থেকে কেটেছি। তারা এতদিন আমার জমিতে চাষাবাদ করেছে। হালদা নদীর পাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হালদার পাড় কাটিনি। নিজের জমি থেকে মাটি কেটেছি। অন্য অভিযুক্ত বদি মেম্বার বলেন, নদীর দুই পাশে আমার বাপ দাদার সম্পত্তি। মাঠি কাটিনি। মসজিদ মাদ্রাসায় কিছু বালু প্রয়োজন ছিল তাই বালু উত্তোলন করে সেখানে দিয়েছি। যারা অভিযোগ দিয়েছে তাদের পরিমাপ করার কথা বলেছি। তারা কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। অন্য অভিযুক্ত করিমকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইমাম উদ্দিন বলেন, তদন্ত করতে এসে দেখলাম হালদা নদীর দুইপাড় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। এটা দূর্গম এলাকা হওয়ায় মাটি পাচারকারীর সুযোগ নিয়ে দিনে রাতে তারা এসব পাচার করছে। রাবার ড্যামের নিচের অংশ হলেও এখানে তারা আরেকটা বাধ দিয়েছে বালু উত্তোলন করে পাচারের জন্য। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রতিবেদন দাখিল করব।