রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনের ঘর, সেমি পাকা ঘর টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় কয়েক জন বলেন, সরকারি স্কুলের মালামাল বিক্রি করে অসুস্থার ভান করে নির্বাহী কর্মকর্তার উপর দায়বার দিচ্ছেন বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি ক্রমে ঘর নিলাম দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঘুরপাক খেতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, এ বিষয়ে কোন সংবাদ পরিবেশন করতে নিষেধ করেন। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন আগে প্রায় ১০/১২ মণ টিন ভর্তি একটি গাড়ী বিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। মানুষের চলাচল কম হলে গভীর রাতে টিন গুলো কোথায় নিয়ে চলে যায়।
জানা যায়,রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির কারণে পুরাতন টিনের ঘর ভেঙ্গে দরজা, জানালা গেইট সহ কিছু টিন রেখে দিয়েছে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি বিদ্যালয়ের প্যাডে সঠিক দাম যাচাই বাচাই না করে এক লক্ষ পন্ঞ হাজার টাকায় টেন্ডার হয় যাহা নিয়মবর্হিভূত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লোকজনের অগোচরে গোপনে টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, পরমা এন্টারপ্রাইজ কে গোপনে বিক্রি করে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন,টেন্ডার ছাড়া ইচ্ছে মত কেন সরকারি স্কুলের মালামাল বিক্রি করলো। এ ঘটনায় আলোচনা সমালোচনায় ব্যস্ত এলাকাবাসী। অপর দিকে প্রধান শিক্ষকের পাহাড় সমান অভিযোগের কথা স্বীকার করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাশ। তিনি বলেন নিজের মনগড়া বিদ্যালয় পরিচালনা, ইচ্ছামাফিক ছাত্র ভর্তির অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
ইউ এন ও আরো বলেন, নতুন ভবন তৈরির এবং স্কুলের স্থিত সেগুন গাছ গুলো কর্তনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট অনুমোদনের জন্য চিটি প্রেরণে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি। প্রধান শিক্ষক কর্তৃক পাহার কাঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝর উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন আচরণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা ও নির্বাহী অফিসার তথা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শান্তনু কুমার দাশ ক্ষুদ্ধ। প্রধান শিক্ষকের কর্তব্য ও অবহেলার কারণে তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দিনে দিনে ধ্বংশের ধারপ্রান্তে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিমত ব্যক্ত করেন।