দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার চাকতাই-খাতুনগঞ্জে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৬০ টাকা। গত ৪ জুন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার (২৩ জুন) কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩১ টাকায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর অস্বাভাবিক হারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে খুচরাই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক বলেন, ‘শুক্রবার খাতুনগঞ্জে পাইকারীতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি মান বেঁধে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত। কিছু পেঁয়াজ আছে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়ও বিক্রি করা হচ্ছে। এসব পেঁয়াজের মান কিছুটা খারাপ। তবে চট্টগ্রামের আড়তে দেশি পেঁয়াজ নেই।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনও লক্ষণ নেই বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।
তিনি জানান, বাজারে আদার দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
এদিকে, গত ৪ জুন পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পাইকারীতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। যা খুচরাই কেজি প্রতি ১০০ টাকার বেশিতে বেক্রি হয়। ওই দিনই ৪ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। ৬ জুন রাত থেকে আমদানির ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আসতে থাকে। ৭ জুন থেকে বিক্রি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ। ওইদিন ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ। বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি ২৮ টাকা থেকে ৩১ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সে হিসাবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৬০ টাকা থেকে ৬২ টাকা।
নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ মান বেঁধে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে নগরীর আতুরার ডিপো বাজারেও।
চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বর্তমানে অনেক কমে এসেছে। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম এর থেকে আর কমানো যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে পণ্য পরিবহনে এক নিয়ম। আবার চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহনে আরেক নিয়ম চালু রয়েছে। সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত ওজন স্কেলের কারণে ১৩ টন কিংবা সাড়ে ১৩ টনের বেশি পণ্য চট্টগ্রামে আনা-নেওয়া যাচ্ছে না। অথচ একটি ট্রাকে করে ২২ টন থেকে ২৫ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা রয়েছে। ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামে ১৩ টন থেকে সাড়ে ১৩ টনের বেশি পণ্য আনা নেওয়া যায় না। এ কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে।’