কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পেঁচারদ্বীপ পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়েছে ৭০ টি কাছিমের ছানা। সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা, আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে এই কাছিম।
রবিবার (১৯ মে) সকালে সাগরের পানিতে পরিবেশবন্ধু এসব কাছিম অবমুক্ত করেন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর চেয়ারম্যান ডঃ আব্দুর রব মোল্লা।
এ সময় নেকম ইকো লাইফ প্রকল্পের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম, মনিটরিং ম্যানেজার মোঃ শরিফসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ, পেঁচারদ্বীপ, শীলখালী, মাদারবুিনয়া, শাহপরীর দ্বীপের ৫ টি হ্যাচারীতে ১৫,০০০ ডিম সংগ্রহ করে কাছিমের বাচ্চা ফুটিয়ে সাগরে অবমুক্ত কার্যক্রম চলমান রেখেছে নেকম।
পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের মাধ্যমে গত ৫ বছরে ৫০,৪৫০ টি ডিম সংগ্রহ করে যা থেকে ৮৫ শতাংশ বাচ্চা ফুটিয়ে সাগরে অবমুক্ত করা হয়। এ ধরণের প্রদ্ধতিকে এক্স-সিট্যু সংরক্ষণ বলা হয়।
ইউএসএইড ও সামিট এর অর্থায়নে, পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনায় নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) কাছিম সংরক্ষণের এ কাজ প্রায় ২০ বছর যাবত করে আসছেন।
সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, কক্সবাজার সৈকতের মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে। যা এক দশক আগেও ছিল ৫২ টি। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানসমূহ বর্তমানে হুমকির মুখে।
পরিবেশ বন্ধু কাছিম সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নেকমের চেয়ারম্যান ডঃ আব্দুর রব মোল্লা।