আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাহাড় কেটে হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গুঁড়িয়ে দিলো পরিবেশ অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১১ মার্চ ২০২২ ০৪:৩৭:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ প্রকল্পের নামে সরকারি খাসজমি দখল করছে জালালাবাদ তালিমুল কুরআন কমপ্লেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে জালালাবাদ মাঝেরঘোনা এলাকায় বিস্তৃর্ণ পাহাড় ও টিলা কেটে দখল করার অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ বসতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের একটি টিম পুলিশের সহযোগিতায় এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযানের বিষয়টি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক নিশ্চিত করেন। এর আগেও পাহাড়কাটার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মাওলানা তৈয়্যবকে দুই দফায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে বিপুল খাসজমি ও পাহাড় রয়েছে। এ সুযোগে প্রভাবশালীরা এসব পাহাড় দখল করে নানান স্থাপনা তৈরি করছে। তার মধ্যে অন্যতম তালিমুল কুরআন মাদরাসা।

জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহেদ ইকবাল বাবু বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘জালালাবাদে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে পাহাড় কেটে হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানাচ্ছে জালালাবাদ তালিমুল কোরআন মাদরাসা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পাহাড়কাটার বিষয়টি জানার পর ওই স্থান পরিদর্শন করেছি। ওখানে পাহাড় কেটে সরকারি খাসজমি দখল করা হচ্ছে। এরপর পরই আমি বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করেছি।’

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ৫ এপ্রিল পাহাড়কাটার অভিযোগে জালালাবাদ তালিমুল কুরআন মাদরাসা প্রধান মাওলানা তৈয়্যবকে ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে ২০২০ সালের ৯ জুন পাহাড়কাটার আরেক ঘটনায় মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়্যবকে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদফতর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, ‘জালালাবাদে পাহাড় কেটে হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এখানে বঙ্গবন্ধু হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নাম দিয়ে মূলত সরকারি খাসজমি দখল করা হচ্ছিল। আমরা বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশের সহযোগিতায় অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করার জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পূর্বানুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তারা সরকারি খাসজমি দখলের উদ্দেশ্যে মাদরাসাটির প্রধান এই প্রতিষ্ঠানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, এর আগেও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মাওলানা তৈয়্যবকে জরিমানা করা হয়েছিল। পরে জরিমানা আদেশের পর মন্ত্রণালয়ে আপিল করেছেন।

 

 

 

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়